প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শেষমেশ সুর নরম করলেন অনিল বিশ্বাস কন্যা অজন্তা বিশ্বাস | পরপর জাগো বাংলা’য় উত্তর সম্পাদকীয় লিখে দলের রোষানলে পড়েছিলেন অজন্তা বিশ্বাস | সূত্রের খবর, শুক্রবার নিজের অবস্থান বদল করে তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন | তাঁর লেখায় কেউ দুঃখ পেলে, তিনিও দুঃখিত বলেই দলকে জানান অজন্তা বিশ্বাস | প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় ‘বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি’ শীর্ষক একটি লেখা প্রকাশিত হয় | তখন থেকেই এই লেখা ঘিরে হইচই পড়ে যায় | অনিল বিশ্বাসের মেয়ে হয়ে কীভাবে জাগো বাংলায় লিখলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে | তখনই তাঁকে শোকজ নোটিশ ধরায় সিপিএম | অজন্তা পাশে পান ক্ষিতি কন্যা বসুন্ধরাকে| এরপরই অজন্তা বলেন, ‘আমি ইতিহাসের অধ্যাপিকা | আমার গবেষণার অন্যতম বিষয় বঙ্গ নারী | এই নিয়ে আমি গবেষণা করছি। তাই লেখায় প্রাক স্বাধীনতা পর্বে অবিভক্ত বাংলায় এবং পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ উঠে এসেছে | এই লেখায় কংগ্রেসি নেত্রীদের কথা যেমন এসেছে, তেমনই আছে বামপন্থী নেত্রীদের অবদানের প্রসঙ্গও | নারীদের ভূমিকা নিয়ে লিখতে গেলে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও প্রসঙ্গ আসাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক | তিনি বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী |’ গত বুধবার পর্যন্তও এই অবস্থানেই ছিলেন অজন্তা | কিন্তু শুক্রবারই বদলে গেল অজন্তার সুর | জাগো বাংলায় লেখার জন্য দুঃখপ্রকাশ ধরা পড়ল অনিল–কন্যার গলায় | সূত্রের খবর, অজন্তা বিশ্বাস পার্টিকে জানিয়েছেন, তিনি এই ঘটনার জন্য দুঃখিত | তাঁর এই লেখায় কেউ যদি দুঃখ পেয়ে থাকে তা হলে তার জন্য তিনি ক্ষমা চাইছেন | ভবিষ্যতে তিনি সতর্ক থাকবেন | প্রসঙ্গত, অজন্তা বিশ্বাসকে শোকজ করেছিল এরিয়া কমিটি | কলকাতা জেলা কমিটির অধীনে থাকা অধ্যাপক গবেষকদের এরিয়া কমিটির সদস্য তিনি | অজন্তার জবাব নিয়ে আলোচনা হবে ব্রাঞ্চ ও এরিয়া কমিটিতে | আলোচনা হবে কলকাতা জেলা কমিটিতেও | তবে তাঁকে নিয়ে সিপিএম কী ভাবছে তা এখনও স্পষ্ট করেনি |