দেবাশীষ পাল,মালদহ :- মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ২ ব্লকের ভালুকা বাজার এলাকায় মাছ চাষীদের বঞ্চিত মাছ চাষ থেকে| পাঁচ শতাধিক মাছ চাষির পরিবারকে সম্পূর্ণ রোজগারহীন করে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে নদীর দখল নিল তৃণমূলের নেতা- কর্মীরা বলে অভিযোগ | অথচ মাছ চাষীদের ওই নদীতে মাছ চাষ করার অনুমতি দিয়েছে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন| এমনকি গোলমাল হওয়ায় সেখানে ১৪৪ ধারাও রয়েছে | চাষিরা একে একে সেখানে মাছ ধরেন|কিন্তু লাঠি, বল্লম নিয়ে হাজির হয়ে নদীর ধার দিয়ে বাঁধ বরাবর তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে জাল দিয়ে ঘিরে সেখানে মাছ ধরা শুরু করেছে তৃণমূলের একদল কর্মী সমর্থক | পরোয়া নেই সরকারি নির্দেশের,পরোয়া নেই ১৪৪ ধারার | দিব্যি নদী দখল করে মাছ চাষ করে ব্যবসা শুরু করেছে | নদীর ধারে কাছে যেতে পারছে না এলাকার পাঁচশো মাছ চাষি |গত একমাস ধরে এভাবেই চলছে | বিডিও বা থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি| কেউ দেখতেও আসেনি তাঁদের | বুধবার এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন শতাধিক মৎস্যজীবী | ঘটনা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ২ ব্লকের ভালুকা বাজার এলাকায় | ফুলহার নদীর একটা অংশ বাঁধের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে | এই এলাকার ৫০০ মাছ চাষী| এই নদীতে মাছ ধরে বিক্রি করে চাষীরা সংসার চালান |
বাঁধ লাগোয়া নদীর এই অংশ একরকম ভেরির মত হয়ে থাকে৷ এখানে প্রচুর মাছ থাকে | আর সেই অংশের দখল নিয়ে মাছ চাষের উদ্যোগ নেয় বহু প্রভাবশালীরা| চাষীদের অভিযোগ, সব ঠিকঠাকই চলছিল | গত একমাস ধরে আচমকায় প্রভাবশালীদের ‘দাপটে’ জোর যার মুলুক তার’ স্টাইলে সব পাল্টে যেতে শুরু করেছে | দখলকারীরা অবশ্য দাপটের সঙ্গেই বলছেন, ‘‘তৃণমূল করি| তাই পতাকা লাগিয়ে এলাকা ঘিরে নদীতে মাছ চাষ করছি | কারও কিছু করার থাকলে করে নিক |”বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি | ‘‘এসব আসলে গৃহযুদ্ধের সূচনা’’ কটাক্ষের সুর বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের | অন্যদিকে ঘটনার ‘সত্যতা’ স্বীকার করে নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হজরত আলি বলেন, ‘‘একদল মানুষ তৃণমূল পরিচয় দিয়ে দলের বদনাম করছে| আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতোর |প্রশাসনকে বলেছি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে |”