প্রসেনজিৎ ধর :- সোমবার রাতেই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে | তারপরই মঙ্গলবার সকালে বালুরঘাটের সাংসদ কলকাতায় এলেন | তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে চলে গিয়েছে বাবুল সুপ্রিয় | এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় দলে থাকলে ভাল হতো |’ বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি জানান, শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গেই দলের সংগঠন মজবুত করাই তাঁর লক্ষ্য | প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষের কার্যকালের মেয়াদ বাকি ছিল আরও একবছর তিন মাস | ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হন দিলীপ ঘোষ | তাঁর মেয়াদ ছিল আগামী বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত |
কিন্তু হঠাৎই দিলীপ ঘোষকে সেই পদ থেকে সরিয়ে, সেই জায়গায় আনা হয় সুকান্ত মজুমদারকে | এই বিষয়ে অবশ্য দিলীপ ঘোষের সাফাই, ‘নাড্ডাজিকে বলেছিলাম নতুনদের তুলে আনা হোক| পার্টি একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে গিয়েছে | এবার নতুন নেতৃত্ব আসুক |আর নয়া দায়িত্ব পেয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকার সময়ই বিজেপি এই রাজ্যে সবথেকে বেশি রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে | বিজেপির আদর্শ মেনে সংগঠনকে আরও মজবুত করাই আমার প্রথম লক্ষ্য | তাই তাঁর ও দলের বাকি নেতাদের পরামর্শ প্রয়োজনে পাথেয় করব | নিচুতলার কর্মীদের কাছে হাতজোড় করে বলছি, আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি |’বাবুল প্রসঙ্গে বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “বাবুল সুপ্রিয় আমাদের একজন লড়াকু নেতা ছিলেন | থাকলে ভালো লাগত | তিনি কেন দলবদল করলেন তা তিনি বলতে পারবেন | তবে বাবুলদা আমার খুব ভালো বন্ধু ছিলেন| দাদার মতন থাকতেন| উনার সাথে আমরা বহু লড়াই করেছি | উনি থাকলে খুব ভালো মজা হত, কাজের সাথে লড়াই হত | এখন তো তৃণমূলের সাথে লড়াই, কোন ব্যক্তি বিশেষের সাথে লড়াই না |” দলবদল প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,”যারা দলবদল করছেন তারা কেন দলবদল করছে সেটা তারাই বলতে পারবেন | তবে যারা ভারতীয় জনতা পার্টি নীতি আর্দশের জন্য করেন, আমাদের কর্মীরা তারা কোন দিন দলবদল করবেন না |”