প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ভবানীপুরে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের | ভবানীপুরে জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে হারানোর চক্রান্ত করা হয়েছিল | তারই জবাব দিল ভবানীপুর| কোনও ওয়ার্ডের ভোটার আমাকে হারায়নি| সারা বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ |”ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন এটা প্রত্যাশিত ছিল | কিন্তু এই ব্যাপক ব্যবধানে সব রেকর্ডকে ভেঙে তিনি জিতবেন এটা অনেকেই ভাবতে পারেননি | কিন্তু সেটাই ঘটেছে| সকাল থেকেই তিনি এগিয়ে ছিলেন গণনায় | বেলা গড়িয়ে যখন ঘড়ির কাঁটা ২টো ১০ মিনিট তখন ২১ রাউন্ড শেষে তাঁর জয়ের ব্যবধান ৫৮ হাজার ৮৩২ | ৮৪ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন | সেখানে বিজেপি এবং সিপিআইএম প্রার্থীরা ধারে কাছে আসতে পারেননি | এদিন সকাল থেকেই কালীঘাট মন্দিরের প্রবেশদ্বারের পাশে একটি পোস্টার নজর কাড়ে শহরবাসীর | যেখানে মহিষাসুরমর্দিনীর আদলে বড় বড় অক্ষরে লেখা হয়েছে, ‘মোদিশাহসুরমর্দিনী’ | যা দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না, নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে অসুরের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে | আর মমতাকে দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেছে তৃণমূল | শুধু বাংলাতেই বিজেপিকে হারানো নয়, এই পোস্টারই বুঝিয়ে দিচ্ছে এবার দিল্লি দখলে ঝাপিয়ে পড়বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস| ভবানীপুর অঞ্চলটি নানা ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, জাতিকে নিয়ে গঠিত | সেখানে বাঙালি-অবাঙালি বিভেদ করা আরও বড় ভুল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিজেপির |যার পুরো ফায়দাটি পেয়েছেন ঘরের মেয়ে মমতা | তিনি ষোল আনা মসজিদ থেকে মন্দির, গুরুদ্ধার সর্বত্র পৌঁছেছিলেন | সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছিলেন |প্রসঙ্গত,২০১১ সালের ব্যবধানের রেকর্ড যেমন ভাঙলেন, তেমনই ভাঙলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের রেকর্ড | আবার গড়লেন বিরাট অঙ্কের ভোটের মাইলস্টোন |