দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- গড়িয়াহাটে জোড়া খুন কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া মহিলা মিঠু হালদারের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত হল | বৃহস্পতিবার তাকে আলিপুর আদালতে তোলা হয় | পুলিশের অনুমান এই ঘটনায় মিঠুর সঙ্গে তার ছেলে ভিকি-সহ বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে | মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সে সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে | পুলিশ সূত্রে খবর, ডায়মন্ডহারবার পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়াবাড়ির উঠোনে রক্তমাখা জামা কাচতে বসেছিল মিঠু হালদার | কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকির বাড়ির প্রাক্তন পরিচারিকা সে | বিষয়টি চোখে পড়ে যায় বাড়ির মালকিনের | সেই সূত্রেই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেলে খুনির খোঁজ | গড়িয়াহাটের জোড়া খুন কাণ্ডে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় পরিচারিকা মিঠু হালদারকে | আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন | জানা গিয়েছে, বিজ্ঞাপন দেখে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকির সঙ্গে যোগাযোগ করে ধৃত মিঠু হালদারের ছেলে ভিকি। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তুখোড় ইংরাজিতে সুবীরের সঙ্গে কথা বলে সে| বাড়ি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে | তাই দ্বাদশীর দিন গাড়িচালক রবীন মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে গিয়েছিলেন সুবীর চাকি | তদন্তকারীদের অনুমান, কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটি কিনতেই চেয়েছিল মিঠু এবং তাঁর ছেলে | দরদাম নিয়ে গণ্ডগোল এবং চিনে ফেলার জেরেই কর্পোরেট কর্তা ও তাঁর গাড়িচালককে খুন করা হয় | তদন্তকারীরা মনে করছেন, লুটপাট করতেই ভিকি খুন করে শিল্পকর্তাকে | তবে কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়িটি ফাঁকাই ছিল | সেক্ষেত্রে ওই বাড়িতে ভিকি কি লুটপাট করত তা ভাবাচ্ছে সকলকে | এই খুনের ঘটনায় মিঠুর বড় ছেলে ভিকি এবং এক ভাইয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ | নজরে রয়েছে ভিকির কয়েকজন বন্ধুও |