দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- গত বৃহস্পতিবার প্রয়াত হন সুব্রত মুখোপাধ্যায় | তিনি শুধু রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন, তাই নয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মমতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের | আজ বিশ্ববাংলা শারদসম্মান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে বারবার তাই সুব্রত দার কথাই মনে পড়ল মমতার |এদিন স্মৃতি হাতড়ে মমতা বলেন, ‘আমার সঙ্গে পুজোর ১৫ দিন আগে থেকে ঝগড়া হত | বলতেন, কবে সময় দিবি, আর বলতেন স্তোত্রটা একবার বলে দিস | আমি জিজ্ঞেস করতাম সুব্রত দা থিম করেন না কেন বলতেন, আমি সাবেকি পুজো করি |’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সবাই জানি জন্মালে মৃত্যু হবেই | কিন্তু সুব্রত দার যাওয়ার বয়স হয়নি, সময়ও হয়নি| ভাল থাকতে থাকতে হঠাৎ করেই চলে গেলেন | আমরা তাই মেনে নিতে পারছি না|’ সোমবার দুপুরে রাজ্য বিধানসভায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় | সেখানেই বন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় | বলেন, ‘সেই ১৯৬৭ সাল থেকে ওঁর সঙ্গে আমার পরিচয় | তারপর ছাত্র আন্দোলন থেকে পথ চলতে চলতে এতগুলো বছর কেটেছে | কত ঝগড়া করেছি, তার হিসাব নেই | আবার কত নিবিড় বন্ধুত্বও ছিল | আজ যে সুব্রত নেই, ভাবতেই পারছি না |’এদিন বিধানসভায় সুব্রতবাবুকে নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করেছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কোনওদিন উত্তম কুমারকে দেখিনি | ছোট বেলায় যখন সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দেখতাম, তাঁকেই উত্তম কুমার মনে হতো | যতদিন সংসদীয় রাজনীতি থাকবে ততদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করা হবে |’ মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘১৯৭১ থেকে ২০২১ সালের বঙ্গ রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করলে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ছাড়া কোনও আলোচনা সম্ভব নয় |’ বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমার এবং আমার পরিবারের সম্পর্ক ছিল| অনেক ছোট বয়সে আমি তাঁকে দেখেছি |মেদিনীপুরের বাড়িতে তিনি শতাধিকবার এসেছেন, থেকেছেন | তাঁর সঙ্গে রাজনীতির বাইরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল | রাজনীতির মত আলাদা হলেও কোনও দিন সেই সম্পর্কে প্রভাব পড়েনি |’