নিজস্ব সংবাদদাতা :- নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিনের মাথায় উদ্ধার হল জয়গাঁ থানার এএসআই রতন করের দেহ | রবিবার সকালে হাসিমারা পুলিশ ফাঁড়ির অধীন ভার্নাবাড়ি বাগানে চা গাছের ঝোপ থেকে ওই পুলিশ আধিকারিকের দেহ উদ্ধার ঘিরে জয়গাঁ ও হাসিমারায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে | জানা গিয়েছে, তিনি দিনহাটা এলাকার বাসিন্দা | তাঁর বাইকটিও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে | প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই পুলিশ আধিকারিককে খুন করে চা বাগানে ফেলে রাখা হয়েছে | আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছেন | বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ জয়গাঁ থানা থেকে তাঁর হাসিমারার ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ের নাকা পয়েন্টে আসার কথা ছিল | সে পথে বাইক নিয়ে বেরিয়েও পড়েছিলেন তিনি | কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর আর কোনও হদিশ মিলছিল না | রবিবার সকালে দলসিংপাড়ার এক চা বাগান থেকে মিলল তাঁর দেহ ও বাইক| তিনি আলিপুরদুয়ার জেলার ভূটান সীমান্তবর্তী জয়গাঁ থানার এএসআই রতন কর | গত বুধবার তাঁর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রী গীতা কর বিষয়টি জয়গাঁ থানায় পুলিশ আধিকারিকদের জানান ও সেদিনই একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন| ডিএসপি ট্রাফিকের নেতৃত্বে সেই ঘটনার তদন্তও শুরু হয় | এদিন দলসিংপাড়ার একটি চা বাগানের নালা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে |৫২ বছর বয়সি রতনবাবু পরিবার নিয়ে জয়গাঁ থানার পুলিশ কোয়ার্টারেই থাকতেন | তাঁর পৈতৃক বাড়ি কোচবিহার জেলার দিনহাটা শহরে | শ্বশুরবাড়ি কোচবিহার শহরে | তাঁর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে এই দুই জায়গাতেও খোঁজ করেছিল পুলিশ | কিন্তু তাঁর কোনও হদিশই মেলেনি | এদিন তাঁর দেহ মেলার পরে মনে করা হচ্ছে তাঁকে খুন করা হয়েছে | অনুমান করা হচ্ছে বালি মাফিয়ারা তাঁকে খুন করেছে| নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই রতনবাবুর মোবাইলও সুইচড অফ হয়ে গিয়েছিল | সেই মোবাইলের সন্ধান এখনও মেলেনি | পুলিশ জানিয়েছে, রতনবাবু খুন হয়েছেন কিনা তা বোঝা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরে |