প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কলকাতা পুরনিগমের ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতা সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় | নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কারের বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় | সেই মত ওই দুই নেতা ও নেত্রীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল | ৩ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন থাকলেও যথারীতি ভাবেই অবস্থানে অনড় থেকে প্রার্থী পদ ছাড়েননি দুই বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতা | তাই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে বহিস্কার করা হল সচ্চিদানন্দ ও তনিমাকে | প্রসঙ্গত, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটার সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে তৃণমূল প্রথমে প্রার্থী করে তনিমাকে | শেষে তৃণমূল সিদ্ধান্ত নেয় তনিমা নয় সুদর্শনাকেই প্রার্থী করা হবে | আর এই ঘোষণাতেই বিক্ষুদ্ধ হয়ে নির্দল হিসেবে মনোয়ন দেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন | টিকিট না পাওয়ায় নির্দল প্রার্থী হয়েছেন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় | অন্যদিকে ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে সুব্রত বক্সির ভাই সন্দীপ বক্সির বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি | তাঁকেও প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করার কথা বললে করেননি | তাই দুই বিক্ষুদ্ধকেই দল থেকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল তৃণমূল | তৃণমূলের দুই নেতা ও নেত্রীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমার | এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, তনিমা চট্টোপাধ্যায় ও সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সারা জীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হল | ভবিষ্যতে তাঁদের দলে ফেরানোর কোনও সম্ভাবনা নেই | প্রসঙ্গত, শুধু তনিমা চট্টোপাধ্যায় ও সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়,মুখ্যমন্ত্রীর নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন রতন মালাকার| কিন্তু পরে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন |