প্রসেনজিৎ ধর :- একাধিকবার দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারের পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী দুর্গতদের কাছে না পৌঁছে তা চলে যাচ্ছে খোলাবাজারে বিক্রি হতে | আর তাতে শুধু যে রাজ্যের শাসক দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে তাই নয়, রাজ্য সরকারকেও অস্বস্তিতে পড়তে হয় | এবার সেই ধরনের ঘটনা কাটিয়ে উঠতে অভিনব পন্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার | নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে রাজ্যের নানা প্রান্তে যে সব ত্রাণ বিলি করা হবে তাতে ত্রিপলের পাশাপাশি খাবার জলের প্যাকেট থেকে চিঁড়ে গুড়ের প্যাকেটেই থাকবে ‘বিশ্ব বাংলার’ লোগো | ফলে ত্রাণের সামগ্রী চুরি করে বিক্রি করতে গেলেই বিপদে পড়বে চোরেরা | সাধারণ মানুষও সতর্ক হয়ে যাবে | বিশ্ববাংলার লোগো থাকলে খুব সহজেই বোঝা যাবে যে সেই সামগ্রী সরকারী ত্রাণের অংশ |এই বিষয়ে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান জানিয়েছেন, ‘আয়লা থেকে আমফান যশ থেকে বুলবুল, সবই তো মে মাসে আছড়ে পড়েছে | তাই দুর্যোগ মোকাবিলার সব সরঞ্জাম তৈরি রাখা হচ্ছে | ত্রিপল-সহ ত্রাণ সামগ্রীও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে | ত্রাণ সামগ্রী বণ্টন নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে | সেই পথ বন্ধ করতে এবার ত্রিপল-সহ সব ত্রাণ সামগ্রীতে বিশ্ব বাংলার লোগো দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে | কয়েক মাসের মধ্যেই লোগো দেওয়া ত্রিপল তৈরি হয়ে যাবে। পৌঁছে যাবে রাজ্যের গুদামে | লোগো থাকলে কাঁথি পুরসভার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না | হলেও দোষীরা সহজে ধরা পড়বে| বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও ত্রাণ সামগ্রী বিলি করে | লোগো দেওয়া থাকলে সরকারি ত্রাণ সামগ্রীকে সেসবের থেকে আলাদা করা যাবে | রঙেও বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে| এতদিন ত্রাণের কাজে শুধু কালো রঙের সরকারি ত্রিপল ব্যবহার হত | এবার কালোর পাশাপাশি নীল ও হলুদ রঙের ত্রিপলও দেওয়া হবে |’ নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের ১১টি জেলা ঝড়বৃষ্টি হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়| এই বন্যাপ্রবণ জেলাগুলোয় স্পিড বোট পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাভেদ খান জানালেন, আমাদের ২০০ পুরনো স্পিড বোট ছিল | পরে আরও ২০০ বোট কেনা হয়। এই ৪০০ স্পিড বোটকেই ৩০ মে-র মধ্যে বন্যাপ্রবণ জেলাগুলোয় পাঠিয়ে দেওয়া হবে | আগামী ৬ মে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে বসছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, সেখানেই চূড়ান্ত হবে রূপরেখা |