শান্তনু পান :- শোচনীয় দশা বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের কাশতোড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র | চিকিৎসকই নেই, বন্ধ চিকিৎসা পরিষেবা | আর তাই চিকিৎসকের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধের মুখে বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের কাশতোড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র | সেখানে গেলে মনে হয় যেন কোনও ধ্বসংস্তূপ | আগাছায় ভরে গেছে চতুর্দিক | বেড থেকে জরুরি সরঞ্জাম, একঘরে ডাঁই করে রাখা | ঝোপজঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একাংশ | রাতের অন্ধকারে চলে মদের আসর বলে অভিযোগ |স্থানীয়দের অভিযোগ কয়েক বছর ধরে রোগী দেখা বন্ধ এখানে |
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনও বালাই নেই | আশেপাশের নানা গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার বাসিন্দা এই প্রাথমিক কেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল | বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখানে কোনও চিকিৎসক আসেন না | তাই রোগ হলে তাঁরা এদিকে আসেনই না | তাঁরা জানান, বছর কয়েক আগেও রোজ চিকিৎসকের দেখা মিলত| ওষুধও পাওয়া যেত। সে সব এখন অতীত |তবে শেষ কবে চিকিৎসক এসেছিলেন তা তারা জানেনই না | এখন প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুও হয় না বলে অভিযোগ | এখন কেন্দ্রটি সামলান স্বাস্থ্যকর্মী সোনালি গরাই ও ফার্মাসিস্ট গণেশ চন্দ্র মন্ডল |
গণেশবাবু জানান চিকিৎসক না আসায় রোগীদের বিনা প্রেসক্রিপশনে দরকারি ঔষধ তিনিই দেন, এভাবেই চলছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে |এমনকি তাঁর দাবি, রোজ রাতে চোরের উপদ্রব হয় | হাসপাতালটিতে নেই কোনো পাহারাদারও |