প্রসেনজিৎ ধর :- দুর্গাপুরের ইন্ডিয়ান অয়েল বটলিং প্ল্যান্টে শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য | ক্ষতিপূরণের দাবিতে পুলিশকে মৃতদেহ তুলতে বাঁধা দেন শ্রমিকরা | তবে কী এই ঘটনা ঘটল তা এখনও জানা যায়নি | যদিও মৃতের দাদার অভিযোগ, বাড়িতে গিয়ে বারংবার কারখানায় মানসিক ও শারীরিকভাবে কাজের জন্য চাপ দেওয়া হত বলে জানাতো | এদিকে এই ঘটনা ঘটতেই মুখে কুলু এঁটেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ | পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম কাঞ্চন রায় (৫৮) | তিনি শ্যামপুরের বাসিন্দা | কারখানার হ্যান্ডেলিং বিভাগের সুপারভাইজার ছিলেন | শুক্রবার ডিউটি করে বাড়ি ফেরেননি তিনি | রাত হয়ে যাওয়ায় বাড়ির লোকজন কারখানায় ফোন করেন | তখন কারখানায় তাঁকে খোঁজা হয় | কিন্তু কোথাও তাঁর দেখা মেলেনি | পরে শনিবার সকালে কারখানার একটি শৌচাগারে কাঞ্চনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান শ্রমিকরা | তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে| এটা আত্মহত্যা না খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে| শিফট শেষ হলেও কেন তিনি বাড়ি ফিরলেন না? বাড়ি ফিরবেন না সে কথা পরিবারকে কেন জানালেন না? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ | এই ঘটনার পর পুলিশ দেহ নিতে গেলে শুরু হয় ঝামেলা | শ্রমিকদের একাংশ দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে | কারখানা কর্তৃপক্ষের সেই আশ্বাস পেলে দেহ ছাড়ে শ্রমিকরা | পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় | জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন | মৃতের দাদার অভিযোগ, বাড়িতে গিয়ে বারংবার কারখানায় মানসিক ও শারীরিকভাবে কাজের জন্য চাপ দেওয়া হত বলে জানাতো | যদিও এই বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ তথা ইন্ডিয়ানার বটলিং প্ল্যান্টে হ্যান্ডেলিং অফিসার হিমাংসু সিং মুখে কুলু এঁটেছেন | প্রশ্ন করলেও কোনও উত্তর দেননি | ঘটনার কথা স্বীকার করে ঠিকাদার সংস্থা আধিকারিক সান ইসলাম জানান, পুরোনো শ্রমিক, যথেষ্ট পরিশ্রমী ছিলেন | কারখানার শ্রমিকদের দাবি, মৃতের পরিবার আছে, অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে | পাশাপাশি কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তার তদন্ত চাই | চরম গাফিলতি রয়েছে কর্তৃপক্ষের | অবশেষে কারখানা কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পর পুলিশ রাত্রি একটা নাগাদ মৃতদেহ তুলতে দেয় শ্রমিকেরা | পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় |