দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- খাস কালীপুজোর সকালে কলকাতার জোড়াবাগানে এলাকায় ভয়ংকর কাণ্ড। ঘর থেকে উদ্ধার প্রৌঢ়ের রক্তাক্ত দেহ। মেঝেয় মিলেছে চাপ চাপ রক্ত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৭)। তিনি উত্তর কলকাতার জোরাবাগান থানা এলাকার সেন লেনের বাসিন্দা।জোড়াবাগান সেন লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ এক বিমা সংস্থার কর্মী ছিলেন। একটি চারতলা বাড়ির একাংশ জুড়ে একাই থাকতেন তিনি। নীচের তলায় থাকতেন তাঁর দিদি। প্রতি দিন সকালে দিদির ঘর থেকে উপরে অভিজিৎকে চা দিতে যেতেন কেউ না কেউ। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢোকেন মৃতের দিদি এবং প্রতিবেশীরা। ঘরে ঢুকে দেখা যায়, প্রৌঢ়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। গোটা মেঝেয় চাপ চাপ রক্ত। এর পরেই স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরে গোয়েন্দা বিভাগের একটি দলও ঘটনাস্থলে আসে। পৌঁছন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরাও। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘরের মেঝেতে চারদিকে পড়ে ছিল জমাট বাঁধা রক্ত। দেওয়ালেও মিলেছে রক্তের দাগ। তাই প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুন করা হয়েছে ওই প্রৌঢ়কে। তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, ঘটনার নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে, সে সব জানতে চলছে তদন্ত। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।বাড়ির সামনের দরজা বন্ধ থাকলেও পিছনের দরজা খোলা ছিল। পরিবারের সন্দেহ, ওই রাস্তা দিয়েই কেউ ঘরে ঢুকে তাঁকে খুন করেছে! যেভাবে ঘরের দেওয়াল এবং মেঝেতে রক্তের দাগ মিলেছে তা স্বাভাবিক হতে পারে না বলেই দাবি পরিবারের। যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। তবে অনুমান, মাথার ভারী কিছু বস্তুর আঘাতে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।