দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হোর্ডিংয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে | শাসক দলের হোর্ডিংয়ে শুধুই অভিষেক | সেখান থেকে উধাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ব্যাকগ্রাউন্ডে সবুজের প্রলেপ থেকে প্রতীকচিহ্ন জোড়াফুল, সবকিছুই রয়েছে তাতে | নেই শুধু দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় | বরং হোর্ডিং জুড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেখা গিয়েছে, মূল ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে পথনির্দেশ করছেন অভিষেক | বুধবার ওই হোর্ডিং চোখে পড়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে | হোর্ডিংয়ে লেখা বার্তাও যথেষ্ট অর্থবহ | কারণ তাতে লেখা রয়েছে, ‘আগামী ছ’মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল,’ ‘ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায় |’ এই হোর্ডিংয়ের মাধ্যমে তাহলে কি কোনও বার্তা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে শুরু কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে | এই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হতেই মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ | পোস্টার সম্পর্কে কুণাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিরোধীরা এই পোস্টার নিয়ে কথা বলছেন, সেখান থেকে সরে আসা ভালো | অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও সংলাপকে ব্যবহার করেই কেউ এই হোর্ডিং দিয়েছেন | এটা তো খুব স্বাভাবিক বিষয় | মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দিয়েও হোর্ডিং তৈরি হয় | এখানে এত আলোচনার কিছু নেই| মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী, অভিষেক সেনাপতি | আর নতুন তৃণমূলের কথা অভিষেক বহুবার বলেছেন | এটা নতুন কিছু নয়, নতুন তৃণমূল মানে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে |’তবে কুণাল বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও এই ঘটনায় যে তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়েছে, তা স্পষ্ট | বিতর্ক শুরু হতেই হোর্ডিংগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে | এখন প্রশ্ন ওঠে, হোর্ডিংয়ে শুধু অভিষেকের ছবি দিয়ে কি তাহলে বিকল্পের বার্তা দেওয়া হচ্ছে?পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা, অভিষেকের বক্তব্যের মূল জায়গাটি এখনও পর্যন্ত সাংগঠনিক ‘কর্তৃত্ব’ হাতে নেওয়া | ছয় মাসের সময়সীমা বলার অর্থ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই কাজ ‘সম্পন্ন’ করা |