দেবরীনা মণ্ডল সাহা কলকাতা :- তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে সভায় এসে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নাম ধরে তিনি সরাসরি আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।এদিন অভিষেক বলেন, ‘আজকে বিজেপির নেতারা ঢাক পিটিয়ে বলছে, আমরা বলেছি বলে বাংলার পাওনা কেন্দ্র থেকে বন্ধ করে দিয়েছে। তার মানে কি তোমরা চাও না, বাংলার মানুষ ঘর পাক, মানুষের পাড়ায় রাস্তা হোক, বাংলার মানুষের মাথার ওপর ছাদ হোক, তোমরা চাও না ১০০ দিনের কাজ হোক? এরা তো স্বীকার করছে। আমি বলছি না। দিলীপ ঘোষ বলছে, সুকান্ত বলছে। আর গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী’।এরপর শুভেন্দুর মুন্ডুপাত করায় মন দেন অভিষেক। বলেন, ‘আর আমার নাম নিয়ে যখন কথা বলে, এরা কোনও দিন নাম নিতে পারে না। কেন না বুকের পাটা নেই। আমি নাম নিয়ে বলছি। বেইমান, গদ্দার, ঘুষখোর শুভেন্দু অধিকারী। তোমার বুকের যদি পাটা থাকে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করো। তোমার যদি বুকের পাটা থাকে, তুমি বলো তোলাবাজের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ দিনের মধ্যে ল্যাজেগোবরে করে হাইকোর্টে না টেনে নিয়ে যেতে পারি আমি এক বাপের ব্যাটা না।’ অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ‘বল! পারবি ক্ষমতা আছে? ভাববাচ্যে তো সবাই বলে। ভাববাচ্যের ক্ষমতা কী? আমি নাম নিয়ে বলছি, দিলীপ ঘোষ গুন্ডা। সুকান্ত মজুমদার আর শুভেন্দু অধিকারী গদ্দার। এরা চায় বাংলাকে ভাগ করতে। এরা চায় বাংলাকে অশান্ত করতে। তোমার ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে’।অভিষেক বলেন, ২১ জুলাই দৃষ্টান্তকারী জনসমাবেশের ঠিক পরের দিনই ২২ তারিখ হানা দিল ইডি। তাঁর প্রশ্ন, অন্যদিন নয় কেন? এদিন অভিষেক বলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এত বড় সভা হচ্ছে। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে আবার কাওকে গ্রেফতার করা হবে। এই কথা বলার পরেই অভিষেক বলেন, রাজনৈতিকভাবে লড়তে না পেরেই এইসব করছে বিজেপি। আর দিল্লিতে বসে চালাচ্ছে চুরি।নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, এটাই কি মোদি ও শাহের নতুন ভারত, যেখানে বিএসএফ ধর্ষণ করে? শুধু তাই নয় কয়লা ও গরু চুরি প্রসঙ্গেও সিআইএসএফ ও বিএসএফকে এক হাত নিয়েছেন অভিষেক। পাচার কাণ্ডে দায়ী করেছেন কেন্দ্রকেই। তাঁর সাফ বক্তব্য, এই কেলেঙ্কারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।