Breaking News

মায়ের রহস্যমৃত্যুর পর মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার!নরেন্দ্রপুরে কিশোরীকে খুনের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রসেনজিৎ ধর :- একবছর আগে মায়ের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। আর একবছর পর মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুরে কলেজ পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে এবার অভিযোগের তির ছাত্রীর বাবার দিকে। নিজের অবৈধ সম্পর্কের জেরেই স্ত্রী–মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নরেন্দ্রপুরে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে যুবতীর দেহ। মৃত কলেজ ছাত্রী যুবতীর নাম সুদেষ্ণা নস্কর (১৮)। সুদেষ্ণার মামাবাড়ির সদস্যরা সুদেষ্ণার বাবা অবিনাশ নস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷জানা গিয়েছে, একবছর আগে সুদেষ্ণার মা বৃহস্পতি নস্করেরও মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। অভিযোগ, অভিযুক্ত অবিনাশ নস্করের সঙ্গে অন্য মহিলার সম্পর্ক রয়েছে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্যই প্রথমে স্ত্রী ও পরে মেয়েকে খুন করেছে অবিনাশ। জানা গিয়েছে, মা ও মেয়ের নামে কিছু টাকা ব্যাঙ্কে ছিল। সেই টাকা হাতানোর লক্ষ্যেই প্রথমে মা ও পরে মেয়েকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছে সুদেষ্ণার মামাবাড়ির লোকজন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ । দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, সুদেষ্ণার বন্ধুরাই বুধবার বিকেলে তাকে ডাকতে যায়। প্রথমে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে, জানলার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারতেই তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। তারাই বিষয়টি অন্যদের জানায়। পুলিসকে খবর দেওয়া হলে, পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় অবিনাশ নস্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। পাশাপাশি বাড়ির মালিক ও অন্যান্য ভাড়াটিয়াদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সুদেষ্ণার মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, মায়ের যে অর্থ ছিল তা বেশ কিছুটা মেয়ে সুদেষ্ণাকে দেওয়া হয়েছিল । এই সম্পত্তি সুদেষ্ণার মায়ের বাপেরবাড়ির। এটাই হাতাতে চেয়েছিল অবিনাশ। সেই সূত্রেই এই পরিকল্পিত খুন বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত সুদেষ্ণার মামাবাড়ির সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *