দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-দুর্গাপুজোর শোভাযাত্রা থেকে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুজোর শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে এই বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন কলকাতা, হাওড়া এবং সল্টলেকের পুজো কমিটিগুলোকে নিয়ে, জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি থেকে বর্ণাঢ্য মিছিল শুরু করেন তিনি। এরপর সেন্ট্রাল এভিনিউ , ধর্মতলা, রানি রাসমণি রোড হয়ে রেড রোডে শেষ হয় সেই মিছিল।শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ—এক মাস আগেই পুজো শুরু হয়ে গেল বাংলায়। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সূচনা করে মমতা বলেও দিলেন, ‘‘আজ থেকেই আমাদের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল। সমস্ত ধর্ম, বর্ণকে নিয়ে এগিয়ে চলব আমরা।ইউনেসকোকে ধন্যবাদ। সারা বিশ্বকে ধন্যবাদ।’’বাংলা দুর্গাপুজোকে ‘আবহমান ঐতিহ্য’-এর তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেসকো। তাদের ধন্যবাদ জানিয়েই বৃহস্পতিবার শোভাযাত্রার ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বলেছিলেন‘দলমতনির্বিশেষে’ ওই পদযাত্রায় যোগ দিতে। তিনি নিজেও হাঁটবেন রেড রোড পর্যন্ত সেই পদযাত্রায়। এমনই কথা ছিল। বাস্তবে তার ব্যতিক্রম হয়নি। আগাগোড়া মিছিলে হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।কলকাতার রাজপথে আগমনীর সুর বেজে ওঠে।এদিন মিছিলের কোথাও ছৌনাচ, কোথাও ধামসা–মাদল–সহ নাচ এবং নানা রঙের বেলুন, পতাকা দেখতে পাওয়া যায়। দুর্গামূর্তিও ছিল সেখানে। ধুনুচি নাচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকের আওয়াজ এক অন্য মাত্রা যোগ করেছিল মহানগরীতে। অনেকের মতে, আমলা এবং আইপিএস কর্তাদের মিছিলে হাঁটতে বলা মুখ্যমন্ত্রীরই ভাবনা হয়ে থাকতে পারে।এদিন জোড়াসাঁকো থেকে দুর্গাপুজোর শোভাযাত্রা ঠাকুরবাড়ির সামনে থেকে রেড রোডের দিকে যাত্রা শুরু করে। সেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সূচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ থেকেই আমাদের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল। সমস্ত ধর্ম, বর্ণকে নিয়ে এগিয়ে চলব আমরা। ইউনেসকোকে ধন্যবাদ। সারা বিশ্বকে ধন্যবাদ।’ মিছিলের শুরু থেকেই হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে উপস্থিত হয়েছেন রাজ্যের নেতা–মন্ত্রী, সাধারণ মানুষ, ছাত্রছাত্রী এবং আমলারাও।
এদিন রাজপথে দেখা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রিসভার তথ্যমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এগিয়ে চলেছেন। আর গানের তালে তালে মুখ্যমন্ত্রী মিছিলে পা বাড়াতেই তাঁর পাশে দেখা গেল রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পঞ্চায়েত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য দফতর–সহ সমস্ত দফতরের সচিব, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। অনেকের মতে, আমলা এবং আইপিএস কর্তাদের মিছিলে হাঁটতে বলা মুখ্যমন্ত্রীরই ভাবনা হয়ে থাকতে পারে। আর মিছিলের শুরুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ঝর ঝর বহিছে বারিধারা। শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিনে বর্ষণ হয়। কখনও কার্তিকেও হয়। কিছু করার নেই। সব বর্ণ, সব শক্তিকে নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে। গরম থেকে বৃষ্টি ভাল। সব ধর্ম, বর্ণকে নিয়ে এগিয়ে চলুন।’