দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন বিধায়ক পরেশ পাল। মঙ্গলবার সকালে হাজিরা দেন তিনি। ভোট পরবর্তীতে কলকাতায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুর ঘটনায় ফের সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। সোজা ঢুকে যান ভিতরে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একাধিক তথ্য মিলবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।গত বছরে ২ মে কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুন হন। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার বিধায়কের। অভিজিৎ খুনের তদন্তে নেমে এর আগে তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। মঙ্গলবার ফের পরেশ পালকে সেই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দ্বিতীয়বার বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালকে জেরা করার জন্য তলব করে নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই তলবের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন তিনি।গত বছরের মে মাসে নির্বাচনী ফলাফলের পর রাজ্যজুড়ে হিংসার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এ নিয়ে আদালতে মামলা হয়। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টেও গড়ায়। কোথায় কোন রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন, সেসবের নেপথ্যে কী ছিল, সব কিছুর তদন্তে শুরু করে সিবিআই। সবার প্রথমে উঠে আসে বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিত্ সরকারের খুনের ঘটনা। পরিবারের তরফে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বাড়ির কাছেই ওই বিজেপি নেতাকে খুন করা হয়েছিল। তৃণমূল নেতা পরেশ পাল এবং এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন অভিজিতের পরিবার। এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে।তবে পরেশ পাল এবং ওই কাউন্সিলরকে এতদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার প্রতিবাদে মৃতের দাদা বিশ্বজিত্ সরকার সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অনশনে শুরু করেছিলেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, অভিজিত্ সরকারের মৃত্যুকালীন বয়ান রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। সেখানে পরেশ পালের নাম থাকলেও কেন তাঁকে তলব করা হয়নি? তারপরই তদন্তে গতি আনে সিবিআই। মে মাসে প্রথমবার পরেশ পালকে তলব করে সিবিআই। এটা তার দ্বিতীয় তলব।