প্রসেনজিৎ ধর :- এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির জালে আরও এক ব্যক্তি। একটানা প্রায় সাত ঘণ্টা জেরার পর সোদপুরের বাসিন্দা সুব্রত মালাকারকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সকাল থেকে তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডির সদস্যরা | সোমবার সকালে সোদপুরের রাজেন্দ্রপল্লী এলাকায় একটি বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, সোদপুরে যে বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট হানা দেয়, সেটি সুব্রত মালাকারের। টানা সাড়ে ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সুব্রত মালাকারকে আজকে দুপুর নাগাদ গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের কর্মীদের নিয়ে সুব্রতের বাড়িতে অভিযান চালান তদন্তাকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।সিএ হিসেবে পরিচয় দেওয়া সুব্রতর বাড়ি থেকে অনেক পাসবই বাজেয়াপ্ত করা হয়। ইডি-র আশা, এই পাসবইয়ে যে লেনদেনের হিসেব নিকেশ আছে তা থেকে মূল চক্রীর বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে। সুব্রতর নাকি ১০ থেকে ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। এই সুব্রত মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে সুব্রতর স্ত্রী এবং বাবাকেও জেরা করে ইডি।সুব্রতকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে।এদিকে ইডির দাবি, তিন-চারদিনের মধ্যেই সোদপুরের বাড়ি বিক্রি করে এখান থেকে পালাতে চেয়েছিলেন সুব্রত। তবে তার আগেই ধরা পড়লেন তিনি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সুব্রতর অ্যাকাউন্টের পাসবই দেখে জানা গিয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকার পরই তা চলে যেত অন্য কারও অ্যাকাউন্টে। অনলাইনে কাকে সুব্রত টাকা পাঠাতেন, তাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই আবহে প্রভাবশালী কোনও ব্যক্তির নাম জড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।