প্রসেনজিৎ ধর :-বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ঘিরে মঙ্গলবার দিনভর উত্তপ্ত হয়ে রইল কলকাতা| কলকাতা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে। আটক হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার,লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা ও শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও একাধিক বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এনিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি সাফ বলেন, ‘নবান্ন অভিযানের নামে গুন্ডামি করা হয়েছে। গতকালের ঘটনায় মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছেন। অনেক পুলিশ আহত হয়েছেন। যারা অশান্তি ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ চাইলে গুলি চালাতে পারত। তবে সেটা কাম্য নয়। পুলিশ সংযতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। কিন্তু ব্যাগে করে বোমা আনা হয়েছিল। আন্দোলনের নামে সমাজবিরোধী কাজ করা হয়েছে। রাজনীতিতে সমাজবিরোধী কাজ শোভা পায় না। গতকালের বিজেপির নবান্ন অভিযানে বড়বাজারে ব্যবসা নষ্ট হয়েছে। তবে যারা গাড়ি পুড়িয়েছে, পুলিশকে মারধর করেছে, তাদের জন্য আইন আইনের পথে চলবে।’এদিন নবান্ন অভিযানে বহিরাগতদের আনা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর কথায়, “ট্রেন ভাড়া করে লোক আনা হয়েছে। বহিরাগতদের আনা হয়েছে গুন্ডামি করতে। মানুষ পাশে নেই জেনেই এই গুন্ডামি।” রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সাফ কথা, “আমরা আন্দোলন করতে বাধা দিই না। কিন্তু আন্দোলনের নামে গুন্ডামি কাম্য নয়। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। বলেন, “পুলিশ যা করেছে কাল তা অবর্ণনীয়। বর্ষীয়ান নেতাদের রাস্তায় ফেলে মেরেছে সিভিক পুলিশরা। গুলি চালাতে আর বাকি রাখল কেন?”তমলুকের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দিঘা মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘা এখন আন্তর্জাতিক টুরিস্ট স্পট। দিঘা থেকে শংকরপুর হয়ে মন্দারমনি পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ দিয়ে যাওয়া যাবে। দিঘায় দুর্ঘটনা বেড়েছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে বলে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal