প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আদালতের কাছে জামিনের আবেদনই করলেন না এসএসসি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।আজ, বুধবার বিজয়া দশমীর দুপুরে এসএসসি মামলায় গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শুনানি ছিল বিশেষ আদালতে। সেখানে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। একই মামলায় অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং অশোক কুমার সাহারও শুনানি ছিল। প্রত্যেকেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে এই চারজনই জামিনের আবেদন করেছিলেন। শুধু পার্থ জামিনের আবেদন করেননি।গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে যত বার প্রাক্তন মন্ত্রীকে আদালতে আনা হয়েছে, তত বারই নানা কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়েছেন পার্থ। আগের বেশ কয়েকটি শুনানিতে তিনি রীতিমতো আদালতে চোখের জল ফেলেছেন। শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে জেল থেকে মুক্তিও চেয়েছেন। আদালত তাঁকে বার বার ফেরালেও তিনি থামেননি। বরং বোঝাতে চেয়েছেন, তিনি বাইরে বেরোলেও এই মামলায় তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার ক্ষমতা তাঁর নেই। প্রথমে ইডি হেফাজত, তার পর জেল হেফাজতে থেকে আবার সিবিআই হেফাজতে ছিলেন পার্থ। বুধবার তাঁর মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু আদালতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হলেও পার্থ জামিন চাননি। অন্য দিকে, পার্থ জামিন না চাইলেও শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়, অশোকরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করেছে। এমনকি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশকে ডিভিশন ওয়ান বন্দি হিসাবে দেখার আর্জি করা হলে বুধবার সেই মৌখিক আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। সূত্রের খবর,পার্থ এখন হতাশায় ভুগছেন। তবে এই মামলার শেষ দেখতে চাইছেন। তাই তিনি আর জামিন না চেয়ে দেখতে চান জল কোনদিকে গড়ায়। আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তবে জেলে থেকে আর শরীর দিচ্ছে না। তাই সবটাই কপালের উপর ছেড়ে দিতে চাইছেন। গোটা দুর্গাপুজো কেটে গেল জেলে। আর জামিন চেয়ে কি হবে! তাই তিনি আজ নিজের জামিনের জন্য আবেদন জানাননি। গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে নানা কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়েছেন পার্থ। আজ, বুধবার তাঁর মামলার শুনানি ছিল। আদালতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন পার্থ। কিন্তু জামিন চাননি।