দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- একাদশীর সকালে বাবুঘাটে মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। বিসর্জন হওয়া প্রতিমার কাঠামোতে আটকে ছিল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। কাঠামো সরাতে গিয়ে সেই দেহ চোখে পড়ে। দেহটি এরপর উদ্ধার করে পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ। মৃত ব্যক্তির পরিচয় অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক অনুমান, সেই ব্যক্তির বয়স ৪৫ বছরের কাছাকাছি হতে পারে। তবে এই মৃত্যু গতকালই হয়েছে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বাবুঘাটে নিরঞ্জন হওয়া প্রতিমার কাঠামো সরানোর সময় ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি নজরে পড়তে সাফাইকর্মীরা পুলিশকে খবর দেন। এরপর তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।এদিকে গতকালই বিসর্জনের সময় বাবুঘাটে দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় পুরসভার পে-লোডার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ধাক্কা দেয় এক শিশু সহ বেশ কয়েকজনকে ধাক্কা মারে। জানা যায়, গতকাল দুপুরে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় পুরসভার একটি পে-লোডার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘাটের নিচে পর্যন্ত নেমে আসে। সেই সময় প্রতিমা বিসর্জন দিচ্ছিলেন অনেকেই। পে-লোডারের ধাক্কায় অনেকেই আহত হন। গুরুতরভাবে আহত হয় এক শিশু। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিমা নিরঞ্জন করতে আসা মানুষজন। চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। দুর্ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেন মেয়র। ঘটনা প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘চাকা স্কিড করে যায়, তাই দুর্ঘটনা। বাচ্চাটির অল্প চোট লেগেছে। তবে গুরুতর কিছু হয়নি। সমন্বয়ের অভাবের কোনও ব্যাপার নেই।’প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় পশ্চিমবঙ্গের কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। এবারও মুর্শিদাবাদে প্রতিমা বিসর্জনে গিয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। পুরুলিয়াতে তলিয়ে যায় একজন। এদিকে জলপাইগুড়িতে মাল নদীতে হড়পা বানে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৮ জনের। এখনও নিখোঁজ প্রায় ৩০ জন। এই আবহে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।