প্রসেনজিৎ ধর :- হরিদেবপুর কাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেল পুলিশ। ভারী, ভোঁতা কিছু দিয়ে মাথার পিছনে আঘাতেই যে খুন হন অয়ন মণ্ডল তা উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। দশমীর রাতে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন কলকাতার হরিদেবপুরের বাসিন্দা, পেশায় অ্যাপ-বাইক চালক অয়ন মণ্ডল(২১)। তার পর থেকেই নিখোঁজ হন তিনি। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার মগরাহাটের মাগুরপুকুরে তাঁর মরদেহ শনাক্ত করা হয়। সেই ঘটনার সূত্রে অয়নের বান্ধবী, বান্ধবীর বাবা, মা, নাবালক ভাই-সহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মাথায় আঘাতের জেরে অয়ন মারা যান এবং তার পরে পণ্যবাহী গাড়ি ভাড়া করে তাঁর দেহ মাগুরপুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। সোমবার সামনে এসেছে অয়নের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে শক্ত ও ভোঁতা কোনও জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল অয়নকে। মাথায় এবং দেহে একাধিক আঘাতের জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এরপরে পরেই অয়নের পরিবার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।শুধু তাই নয়, অয়নের বাবা এখন তাঁর আগের ঘোষিত অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। প্রথম থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে অয়নের পরিবার, প্রতিবেশীরা। দ্বাদশীর রাতে এই অভিযোগে হরিদেবপুর থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট অয়নের বাবাও। দাবি, পুলিশের উপর কোনও আস্থা নেই তাঁর। এমনকী জোর করে তাঁকে অনেক কিছু বলানোর অভিযোগও তোলেন তিনি। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন অয়নের বাবা।