প্রসেনজিৎ ধর :- সুন্দরবনকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি নতুন জেলা। পাশাপাশি অঞ্চলকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি মাস্টারপ্ল্যান । সেটি পাঠানো হবে কেন্দ্রের কাছে। মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জের সভা থেকে একথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তাঁর প্রতিশ্রুতি, বাঁধ-পরিবহণ ব্যবস্থা-স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেবে রাজ্য সরকার। সুন্দরবন জুড়ে পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়ন সহ সার্বিক উন্নয়নে বাড়তি নজর দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্প হয় কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘাতেও মাস্টারপ্ল্যানের দাবি দীর্ঘ দিনের। তা নিয়েও উদ্যোগী রাজ্য। এদিন হিঙ্গলগঞ্জ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলার জন্য সুন্দরবনে ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ এবং বিশেষ ঘাস লাগানো হয়েছে।গত ২৫ নভেম্বর বিধানসভায় এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিধানসভা থেকে একটি প্রতিনিধি দল যাক কেন্দ্রে। তাঁরা গিয়ে কেন্দ্রকে বলুন এরাজ্যে নদী ভাঙন কী অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার এনিয়ে একটি প্রস্তাব আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন বিরোধীরা। এটি একটি ব্যতিক্রমী ছবিই বলা যাতে পারে। বিজেপির তরফে বলা হয়, রাজ্যের উন্নতির জন্য যদি কেন্দ্রের কাছে কিছু বলতে হয় তাহলে তা বলা হবে। এ নিয়ে কোনও রাজনীতি হবে না। ঠিক হয় মোট ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল যাবে কেন্দ্রে। সেই দলে থাকবেন শাসকদলের ৭ বিধায়ক ও বিরোধী ৫ বিধায়ক। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান-সহ নদী ভাঙন নিয়ে যেসব প্রস্তাব রয়েছে তা যাতে দ্রুত কার্যকর করা যায় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তদবির করবে প্রতিনিধি দল। সুন্দরবন, মুর্শিদাবাদ, মালদহের বিরাট অংশ ভাঙনে জর্জরিত। বহু মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। সেকথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রের কাছে দরবার করতে চলেছে রাজ্য সরকার।উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী হিঙ্গলগঞ্জ বনবিবির মন্দিরে পুজো দেন। এরপরে করেন বৃক্ষপুজোও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং সাংসদ নুসরত জাহান। এই মন্দিরের সংস্কার এবং মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলের উন্নয়ন করা হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |