প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- গঙ্গা সহ রাজ্যের নদী ভাঙন ঠেকাতে, দিল্লির সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলে বিজেপিকে পাশে পেতে মরিয়া তৃণমূল। বরফ গলাতে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলতে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শোভনদেব জানান, ”মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে খুব শীঘ্রই আমি বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলব।”কয়েকদিন আগে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধায় কেন্দ্রের কাছে দরবারের জন্য শাসক–বিরোধী দলের বিধায়কদের টিম পাঠানোর প্রস্তাবে সিলমোহর দেন। যে প্রস্তাব তুলেছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গঙ্গা–সহ রাজ্যের নদী ভাঙন রুখতে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলে বিজেপিকে পাশে পেতে বার্তা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভায় সে প্রস্তাব সমর্থম করেছিল বিজেপি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বেঁকে বসায় বিপাকে পড়েছেন বাকি বিজেপি বিধায়করা। এই পরিস্থিতিতে বরফ গলাতে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলতে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিধানসভার চলতি অধিবেশনের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপক অনুষ্ঠানে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব, প্রতিনিধি দল নিয়ে বিজেপির মত পরিবর্তন প্রসঙ্গে বলেন, ”রাজ্যর এত বড় বিপদের দিনে আমরা চাই দলীয় রাজনীতির উর্ধে উঠে দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যের স্বার্থে একসাথে দরবার করা হোক।”পরে, নিজের ঘরে এ বিষয়ে শোভনদেব বলেন, ”বিধানসভায় সব বিরোধী দলই সরকারের প্রস্তাবকে সমর্থন করে৷ পরে রাতের দিকে সংবাদ মাধ্যমে ওদের মত পরিবর্তনের কথা জানতে পারি। সে কারনে আজ বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা না থাকায়, আমি নিজে বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গার কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাই। ওদের তরফে কারা প্রতিনিধি দলে যাবেন, তাদের নাম জানানোর জন্য আমি মনোজকে অনুরোধ করেছি। মনোজ আমাকে বলেছেন, বিষয়টি বিরোধী দলনেতাকে জানানো হয়েছে।” এরপরেই শোভনদেব বলেন,” মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তিনি এ বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি বিরোধী দলনেতাকে ফোন করবেন। “এই বিষয়ে শোভনদেবের মন্তব্যের জবাবে বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, ‘এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। পরিষদীয় মন্ত্রী নিজে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলে নিলে কোনও জটিলতা থাকবে না।’