প্রসেনজিৎ ধর :- রয়েছে পাকা বাড়ি। তবুও আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে সোনামুখী’র বিজেপি বিধায়কের স্ত্রীর। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ। প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল।আবাস যোজনার তালিকায় এতদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছিল শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের নাম। সেই নামগুলিকে দৃষ্টান্ত করে শাসক দলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের। তবে এবার বাঁকুড়ার সোনামুখী বিধানসভা এলাকার আবাস যোজনার তালিকায় যার নাম দেখা গেল, তাতে বেশ কিছুটা অবাক হতে হয়। সোনামুখী ব্লকের সদ্য প্রকাশিত আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে সোনামুখী বিধানসভার খোদ বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামীর স্ত্রী প্রতিমা ঘরামীর নাম । জানা গেছে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়কের বাড়ি পুর্ব নবাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের পলশুড়া গ্রামে। সেই গ্রামে তাঁর নিজস্ব পাকা বাড়িও রয়েছে। সম্প্রতি আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশিত হলে দেখা যায় সেই তালিকায় নাম রয়েছে বিধায়কের স্ত্রী প্রতিমার নাম। যোগ্যদের ছেড়ে হঠাৎ কেন বিধায়কের নাম ঢুকে পড়ল তালিকায়? বিধায়কের দাবি, এই তালিকা তৈরির জন্য ২০১৮ সালে যখন সমীক্ষা হয় তখন তাঁর পাকা বাড়ি ছিল না। তখন তিনি বিধায়কও ছিলেন না। বাড়ির আর্থিক অবস্থাও খারাপ ছিল। সেই সূত্রেই হয়তো নাম ঢুকে পড়েছে তালিকায়। তবে বিধায়কের দাবি, বিষয়টি জানার পরেই তাঁর স্ত্রী লিখিত ভাবে জেলা শাসককে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর পাকা বাড়ি রয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদ জানিয়েছে জোড়াফুল শিবির। বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলেছে সবুজ শিবির। অবশ্য বিধায়কের দাবি, তালিকা তৈরি হয়েছিল গত ২০১৮ সালে। তখন তাঁদের পাকা বাড়ি ছিল না। উল্লেখ্য নবান্নের নির্দেশ, আবাস যোজনার কাজ স্বচ্ছ ও দ্রুত করতে হবে। জেলাশাসকের দফতরে কন্ট্রোলরুম চালু করতে হবে। শুধু তাই নয়, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলাশাসক, মহকুমাশাসক এবং বিডিও অফিসে বাধ্যতামূলক ভাবে রাখতে হবে কমপ্লেন বক্স। ২১ জনের বিশেষ পর্যবেক্ষক দলে তিন জন আইএএস পদমর্যাদার আধিকারিক থাকছেন। পর্যবেক্ষক দল খতিয়ে দেখবে নবান্নের ঠিক করে দেওয়া ১৫ দফা গাইডলাইন আদৌ ঠিকঠাক ভাবে মানা হচ্ছে কি না। এছাড়াও গঠন করা হয়েছে টাস্ক ফোর্স।বিধায়ক যাই বলুন না কেন আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে এমন মোক্ষম অস্ত্র হাতে পেয়ে তাকে হাতছাড়া করতে নারাজ তৃণমূল।