প্রসেনজিৎ ধর :- আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। শুভেন্দু অধিকারী সেখানে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানেই পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনায় এবার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি–সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল আসানসোল উত্তর থানায়। কারণ তাঁরা এই কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক। এই দুর্ঘটনায় আসানসোল পুরসভার বিরোধী নেত্রী চৈতালি–সহ বিজেপির কয়েকজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। কিন্তু অভিযোগের কোথাও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই।এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতাকে কম্বলকাণ্ডের দায় স্বীকার করিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। নয়াদিল্লির নেতৃত্বের চাপে পড়ে কম্বলকাণ্ড নিয়ে গলার সুর নরম করে হলদিয়ায় শুভেন্দু বলেন, ‘এই ঘটনায় কোনও চক্রান্ত ছিল না। ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি ছিল। সিভিক ভলেন্টিয়ার, পুলিশ বা স্বেচ্ছাসেবকরা থাকলে হয়ত এমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটত না। ছোট জায়গায় অনেক লোক হয়ে গিয়েছিল।’ এই কম্বল বিলির দুর্ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই তিনজন গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে চৈতালি তিওয়ারি–সহ একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বুধবারের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ঝালি বাউরির ছেলে সুখেন বাউরি। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৮ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রে কোথাও শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই। যদিও নিহত তিনজনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। নিহতদের পরিবার পিছু দু’ লক্ষ টাকা এবং গুরুতর আহত ৬ জনকেই ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের চেক দিয়েছে রাজ্য সরকার। পুলিশ সূত্রে খবর, আসানসোলে বিরোধী দলনেতার কম্বল বিলির কর্মসূচিতে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত ঝালি বাউরি (৫৫)-র ছেলে সুখেন বাউরির অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগপত্রে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই। আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীরকুমার নীলকণ্ঠম এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে জানান, ধৃতদের শুক্রবার আসানসোল আদালতে পেশ করা হবে। আদালতে তুলে অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। পাশাপাশি কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।