প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রেল যদি কাউকে উচ্ছেদ করতে চায়, তাহলে পুনর্বাসন দিতেই হবে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এমন বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী।কিছুদিন আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে জমির পাট্টা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রেলের জমি থেকে মানুষজনকে উচ্ছেদ করতে হলে পুনর্বাসন দিতেই হবে। না হলে আন্দোলন চলবে। এবার সেই একই বার্তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে অমিত শাহের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকেও দিয়ে দিলেন। আজকের বৈঠকে রেলের জমি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে রেলের বহু জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে বলেই দাবি করেন রেল বোর্ডের সদস্য (ওয়ার্কস) ব্রিজেশ কুমার। তখনই পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ সম্ভব নয় বলেই অমিত শাহকে সাফ জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নবান্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বসেছিল শনিবার। সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ছিলেন ওড়িশার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তুষারকান্তি বেহেরাও। এদিনের সেই বৈঠকে রেলের জমি সমস্যার কথা উঠে আসে। রেলের বহু জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে বলেই দাবি করেন রেল বোর্ডের সদস্য (ওয়ার্কস) ব্রিজেশ কুমার। তিনি জানান, বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় রেলের বহু প্রকল্প চলছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি জায়গায় জমি জবরদখল হয়ে আছে। তাই জমি জট কাটানোর অনুরোধ জানান তিনি। সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জবরদখলকারীদের রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ করার কথা বলেন। এরপর পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সম্প্রতি গরু পাচার নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে ধরা পড়েছেন ঠিক কী বলেছেন অমিত শাহ? সূত্রের খবর, বিএসএফ–এর বিরুদ্ধে অনেকেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। সেটা খারিজ করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ সাফ বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে পাচার হলে তার দায় একা বিএসএফ–এর নয়। সীমান্তে অপরাধ রুখতে রাজ্যেরও দায়িত্ব আছে। সেটা ভুলে গেলে চলবে না। যে কোনও শর্তে সীমান্তে অনুপ্রবেশ আটকাতেই হবে।’ তখন পালটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিএসএফ –এর অতিসক্রিয়তায় নিরীহ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বিএসএফ নিষ্ক্রিয় থাকায় চোরাচালান বাড়ছে। তার দায় চাপছে রাজ্যের উপর।’