প্রসেনজিৎ ধর :-সিবিআই হেফাজতে মৃত লালন শেখের বাড়িতে গেলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। রবিবার লালনের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রী রেশমা বিবির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এদিন সাক্ষাৎ করে রেশমার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ শতাব্দী।রবিবার সকালে বগটুই গ্রামে গেলেন বীরভূমের তারকা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। আর তাঁকে দেখে আপ্লুত লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। তিনি সাংসদের হাত ধরে বলেন, ”আপনিই প্রখম এলেন। এখনও তো কেউ পাশে এসে দাঁড়ায়নি। আমরা আইনের ভরসা লড়ছি। রাজ্যের উপর, বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা আছে।” শতাব্দীও সবরকমভাবে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে এসেছেন বলে খবর।রবিবার বীরভূমের সাংসদ মৃত লালন শেখের বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন তার পরিবারের সঙ্গে। লালনের স্ত্রী রেশমা বিবিকে বীরভূমের সাংসদ আশ্বাস দেন, তাঁর কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন তিনি। রেশমা বিবি অভিযোগ করেছিলেন তাঁকে মারধর করেছে সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন সেই প্রসঙ্গে শতাব্দী রায় জানান, ‘একজন মহিলাকে কী ভাবে মারধর করা হয়!’ শতাব্দী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে যত দূর যেতে হয় যাব। দিদি এবং অভিষেকের সঙ্গে কথা বলব। আমি সব রকম ভাবে পরিবারের পাশে আছি।’মার্চ মাসে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ। তবে তদন্তকারী সিবিআইয়ের নজরে ছিল সে। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, টাকা-পয়সা ফুরিয়ে যাওয়ায় এলাকায় এসেছিল লালন। সেই সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লালনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। সোমবার অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আর তা নিয়েই আপাতত উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। সেসময় শিলং সফরে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেখান থেকেই কীভাবে সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু হল, সেই প্রশ্ন তোলেন। এদিকে, লালনের স্ত্রী সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছেন। এই মৃত্যুর তদন্ত করছে সিআইডি |