প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রাজ্যের বকেয়া আদায়ে দিল্লি যাওয়া নিয়ে পরবর্তী সময়ে হঠাৎই পিছু হঠলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই নিজের দায়িত্ব নিয়ে তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়লেন তিনি। তিনি এদিন পরিস্কার জানিয়ে দেন রাজ্যের বকেয়া আদায়ে তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোথাও যেতে রাজি নন তিনি।নদীর ভাঙন মোকাবিলায় কেন্দ্রের সহায়তা চাইতে শাসক ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের একসঙ্গে দিল্লি যাওয়ার প্রস্তাব বিধানসভার বিগত অধিবেশনে দিয়েছিলেন শোভনদেবই। শুভেন্দু তখন জানিয়েছিলেন, লিখিত প্রস্তাব পেলে তাঁরা ভেবে দেখবেন। তার পরে পরিষদীয় মন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার ফোনে কথা হয়েছিল এবং পাঁচ পাতার লিখিত বক্তব্য পাঠানো হয়েছিল বিজেপি পরিযদীয় দলের কাছে। কিন্তু বিধানসভার বাইরে বৃহস্পতিবার শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের দাবি নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও প্রতিনিধিদলে আমরা যোগ দেব না।’’ সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে দলের শীর্ষ তথা রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই এমন অবস্থান নিয়েছে পরিষদীয় দল।কেন তাঁরা একসঙ্গে রাজ্যের দাবি নিয়ে দরবার করতে যাবেন না, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ‘‘পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সরকারের প্রস্তাব আমাদের পাঠাতে বলি। কিন্তু আমার সঙ্গে কথা ফোনে কথা শেষ হওয়ার আগেই দেখি বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে বেরিয়ে গিয়েছে! আমরা সরকারের হাতে ব্যবহার হতে আসিনি! আমার আর পরিষদীয় মন্ত্রীর কথা কী ভাবে প্রকাশ্যে আসে? তা ছাড়া, এই সরকারের হাতে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসে মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহা-সহ ৫৩ জন কর্মী খুন হয়েছেন। এমন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাব না।’’ শুভেন্দুর দাবি, যে সরকার বিধানসভার মধ্যে নানা ভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে, বাইরে পুলিশ ও মামলা দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থা করছে, তারাই আবার একসঙ্গে দিল্লি গিয়ে ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ তুলতে চাইছে। তাঁরা এই প্রক্রিয়ায় শামিল হতে চান না।