দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- পাঁচ বছর ধরে প্রেম। এবার তাঁদের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ভিডিয়ো কলে কথা বলতে বলতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। নিজের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুবক। সম্পর্কের টানাপোড়েনেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে।তবে কী কারণে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন যুবক, তা এখনও স্পষ্ট নয়।জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম জয়নুল হক। বয়স ২০ বছর। রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত গধেয়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। পাঁচ বছর ধরে এক বেলাকোবা এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। মাস ছয়েক আগে তাঁদের মোহর হয়। অভিযোগ, মোহরের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগেছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে হবু স্ত্রীকে ভিডিও কল করেছিলেন জয়নুল। স্ত্রী তাঁর সঙ্গে কথা বললেও মুখ দেখাতে চাইছিলেন না। অভিযোগ, তা নিয়ে কথাকাটির মাঝেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। যুবতী ফোনে একাধিকবার বারণ করলেও লাভ হয়নি। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টা জানার পরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা খবর দেয় পুলিশে। বাড়ির গোয়ালঘরে গিয়ে আত্মঘাতী হন জয়নুল। তখন ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে চিৎকার করতে থাকেন তরুণী। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।জয়নুলের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ে ঠিক হয়ে গেলেও অন্য একজনের সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসে। কিছু ছবিও আসে ছেলের মোবাইলে। জয়নুল তা নিয়ে প্রশ্ন করলে বিয়ে ভেঙে দিতে চান মেয়েটি। তাই অবসাদে আত্মঘাতী হন জয়নুল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মেয়ের পরিবার। তাঁদের দাবি, গায়ের রং কালো বলে হবু স্ত্রীকে খোঁটা দিত জয়নুল। তাই যুবককে মুখ দেখাতে চাইত না যুবতী। এদিনও তাই ঘটেছিল। অভিমানে যুবতী বলেছিলেন সামনে আসবেন না। পরে যখন জয়নুল আত্মহত্যার হুমকি দেন, তখন মুখ দেখান যুবতী। চিৎকার করে বাধাও দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। এদিকে মৃতের পরিবারের দাবি, বিয়ের সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার পর হবু স্ত্রীর সঙ্গে অন্য যুবকের সম্পর্কের কথা জানতে পারে জয়নুল। এরপরই বিয়েতে আপত্তি জানায় তরুণী। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি চলছিল। তারই মাঝে এই ঘটনা ঘটে |
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal