দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছে। এই সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করে ফেলল স্বামী। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর দেহ দু’টুকরো করে খালে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার গোয়ালটুলি মোড় সংলগ্ন এলাকায়।নিহত গৃহবধূর নাম রেণুকা খাতুন। অভিযুক্ত স্বামীর নাম এম ডি আনসারুল।পুলিশ সূত্রে খবর, খুন হওয়া গৃহবধূর নাম রেণুকা খাতুন (৩০)। স্ত্রী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছে বলে সন্দেহ করত স্বামী। আর তা থেকেই সন্দেহের বশেই তাঁকে খুন করে স্বামী এমডি আনসারুল। এতেই ক্ষান্ত থাকেনি স্বামী। স্ত্রী রেণুকার দেহ দু’টুকরো করে কেটে তিস্তা ক্যানালে ভাসিয়ে দেয় সে। এমন শিউরে ওঠা ঘটনা ঘটনা বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়। তখন তিস্তা ক্যানেলে রেণুকার দেহের সন্ধানে তল্লাশি চালায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।জানা গেছে,শিলিগুড়ি শহরের কলেজ পাড়ায় একটি বিউটি পার্লারে কাজ শিখতেন রেণুকা। ডিসেম্বর মাসের শেষে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। এই পরিস্থিতিতে বড়দিনের ঠিক আগে শিলিগুড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন রেণুকার পরিবার। তদন্তে নামে পুলিশ। স্বামী আনসারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সন্দেহ হয় পুলিশের। তারপরই তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে, গত ২৪ ডিসেম্বর ঘুরতে যাওয়ার নাম করে স্ত্রীকে ফাঁসিদেওয়ায় নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে স্বামী আনসারুল। তার পর দেহ দু’টুকরো করে তিস্তা ক্যানেলে ভাসিয়ে দেয়। এভাবে প্রমাণ লোপাট করতে চায় সে।রেণুকার এক আত্মীয় মহম্মদ সেলিম সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বুধবার রাতে পুলিশ ফোন করে জানায়, রেণুকা হত্যার তদন্ত সমাপ্ত। কারণ ওঁর স্বামীই ওঁকে খুন করেছে। ওঁদের একটা ছোট্ট ছেলে রয়েছে। দোষীর ফাঁসি চাই।’ এই ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, ‘শিলিগুড়ি থানায় মিসিং ডায়েরি হয়েছিল। রেণুকা খাতুনের খুনের কথা স্বীকার করেছে স্বামী। দেহ দু’টুকরো করে তিস্তার ক্যানেলে ভাসিয়ে দিয়েছিল। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল তল্লাশি চালাচ্ছে। স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’