নিজস্ব সংবাদদাতা :- প্রাক্তন নেত্রী আর নেতার মধ্যে ঘুচে গেল সৌজন্যের রাজনীতি, যা রাজীব অধ্যায়ে এতদিন দেখছিল বাংলা | আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতা রাখতে গিয়ে আজই বলেছেন, “অভিযোগ পেয়েছি বন সহায়ক পদে অনেক কারসাজি হয়েছে, তদন্ত হবে |” দল ছাড়ার দিনও যিনি কেঁদেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মাতৃসম’ বলেছিলেন, সেই রাজীবই এদিন হয়ে উঠলেন ‘মায়ের’ বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক | হুগলির জনসভায় তার জবাব দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় | বন সহায়ক দফতর প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, “অর্থ দফতরের অনুমোদন নিয়ে বন দফতরের নিয়োগ| বন সহায়ক দফতরের প্যানেল প্রকাশ করুন | বলি, প্যানেল বাতিল করুন | তাহলেই দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে |” তারপরই বললেন,”আমি মুখ খুললে বট গাছ নড়ে যাবে | সমুদ্র উথাল পাতাল হয়ে যাবে |” রাজীব বললেন, “শেষ আড়াই তিন বছরে কী কী কারণে অসন্তোষ তৈরি হল জানেন? আমি দল ছাড়ার তিন দিন আগে পর্যন্তও আমাকে ফোন করেছেন | বিভিন্ন নেতাকে দিয়ে আমাকে ফোন করেছেন | আমাকে বলা হয়েছিল, রাজীবকে ছাড়া যাবে না|” তাঁর কটাক্ষ, “মন্ত্রিত্ব ছাড়া পর্যন্ত মনে ছিল না কারসাজির কথা | কেন তখনই আমাকে দল থেকে তাড়ানো হয়নি|” রাজীবের তৃণমূলত্যাগের কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁরই নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |