প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি৷ ‘দিদির দূত’-রা পৌঁছে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে৷ তৃণমূল নেতাদের পড়তে হয়েছে বিক্ষোবের মুখে৷ এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ৷ কয়েকটি জেলায় মানুষজন তাঁদের না পাওয়া সুবিধা নিয়ে দিদির দূতদের ঘিরে প্রশ্ন করেন। যা সহজ উত্তরেই মিটে যায়। এমনকী সরকারি সুযোগ–সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এই বিষয়টি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যারা বেশি বলে, তাদের লোকে এখন শোনাচ্ছে। যারা টিভির পর্দায় ডায়লগ মারত, তারা যে কত বড় চোর সেটা পাবলিক এখন বুঝিয়ে দিচ্ছে। আমরা পাবলিককে বলছি, আপনার জলের টাকা, ঘরের টাকা, শৌচালয়ের টাকা লুঠ হয়ে গিয়েছে। এখন তারাই আপনার বাড়ির সামনে আসছে। মানুষ সবই জানত। ভয়ে বলত না। আমরা আওয়াজ তুলেছি। মানুষ সাহস পেয়েছে। বলতে শুরু করেছে। হিসেব চাইছে। জঙ্গলমহল ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছে, তারা কিছু পায়নি। সর্বস্তরে এই আওয়াজ এবার উঠবে।’রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। মিড–ডে মিল স্কুলগুলিতে কেমন চলছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে। এই বিষয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যে যে প্রকল্পে যত টাকা দিয়েছে, প্রতিটি প্রকল্পের হিসেব নেওয়া উচিত। তদন্ত হওয়া উচিত। নেতাদের বড় বড় বাড়ি, গাড়ি, গয়না হয়েছে সমস্ত কেন্দ্রের টাকায়। গরীব মানুষের জন্য পাঠানো টাকা এরা লুঠ করেছে। তাই পাই–পয়সার হিসেব নেওয়া উচিত। এদের জেলে ঢোকানো উচিত।’বড়জোড়ায় শুভেন্দুর পাল্টা সভা শত্রুঘ্নর এই নিয়ে শনিবার তাঁর বক্তব্য, ‘‘একমাত্র ওর নামেই এখনও কোনো বদনাম নেই। তাই ওর মুখ যতটা বেশি সম্ভব ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা যেদিন যেখানে মিটিং করছি, পরের দিন তৃণমূল সেখানে করছে। মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কারণ মানুষ বেরিয়ে আসছে তো সাহস করে। ওরা এভাবে বেশিদিন সফল হতে পারবে না।’’