দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হাতে খড়ি অনুষ্ঠান নিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপবাবু দাবি করেন, অন্যের বুদ্ধিতে পরিচালিত হচ্ছেন রাজ্যপাল।শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের বোগদা এলাকায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই চা চক্রে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘যে জানে না কিছু, তারই হাতেখড়ি হয়, এটাই আমরা জানি। যিনি সব জেনে গিয়েছেন, তাঁর আবার হাতেখড়ি? এটা তো হয় না। আমাদের দেশের পদ্ধতি আছে। মা সরস্বতীর সামনে বাচ্চাদের হাতেখড়ি দেওয়া হয়, কলম দেওয়া হয়। রাজ্যপাল তো বিদ্বান। এই ধরনের ড্রামা রাজ্যপালের শোভা পায় না।
রাজ্যপাল অন্যের বুদ্ধিতে পরিচালিত হচ্ছেন।’তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যপালের পদ খুব গরিমাময়। সাংবিধানিক পদ। এসব ছোটখাটর ভিতর ওঁর না যাওয়া উচিত। ওঁর অনেক জ্ঞান। একসময় ব্যাংকের চাকরি পেয়ে বাংলায় এসেছিলেন। বাংলা কম বেশি জানেন। আমাদের দেশে বহু লোক বহু ভাষা জানেন। ভাষা শেখাটা আমাদের সিস্টেমের মধ্যেই আছে। সকলের শেখা উচিত। তাতে সংহতি বাড়ে। রাজ্যপালের পদের গরিমা যেন বজায় থাকে। আর রাজ্যপাল বিদ্বান, সচেতন। আমরা আশা করব আগামী দিনে সেরকম ব্যবহার হবে। যাতে কেউ প্রশ্ন করতে না পারে।’ অন্যদিকে বিজেপির এমন আক্রমণের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিজেপির মত অনুযায়ী রাজ্যপালের গরিমা বজায় রাখতে হলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে হয়। আসলে সমস্যা অন্য জায়গায়। জগদীপ ধনখড়কে যেভাবে পরিচালনা করত বিজেপি সেভাবে লা গণেশন কিংবা সিভি আনন্দ বোসকে পারছে না। তাই এসব কথা বলছে।’পালটা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছে সেটা বিজেপির ভালো লাগছে না। জগদীপ ধনখড়ের মতো বিজেপির কথায় ওঠবস করলে ওদের ভালো লাগত। গোটা দেশেই রাজ্যপালরা রাজ্য সরকারের সমন্বয় রেখে চলেন। সেই ঐতিহ্যই অনুসরণ করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।