প্রসেনজিৎ ধর :- গাড়ির ভিতর একাধিক ভর্তি বস্তা। যার উপরে খড় বিচুলি বিছানো ছিল। একপলকে মনে হবে গবাদি পশুর খাবার আছে। কিন্তু পর পর ৬টি এমন গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। আর সেটা বুঝতে পেরেই গাড়ি রেখে চম্পট দেয় চালক–সহ অন্যরা। তখনই গাড়ির উপর রাখা বিচুলি সরাতেই চোখ কপালে উঠে যায় পুলিশ কর্মীদের। এই ৬টি মোষের গাড়িতে টন টন কয়লা পাচার হচ্ছিল। আজ, শুক্রবার প্রায় ১২ টন অবৈধ কয়লা আটক করল বীরভূমের সদাইপুর থানার পুলিশ |শুক্রবার ভোরে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের রেঙ্গুনি গ্রামের রাস্তায় ৬টি মোষের গাড়িতে করে কয়লা পাচার করা হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, দুবরাজপুরের সালুঞ্চি গ্রামকে ভায়া করে সদাইপুর এলাকা হয়ে সিউড়ির দিকে যাচ্ছিল অবৈধ কয়লা বোঝাই ৬টি মোষের গাড়ি। সদাইপুর থানার ওসি মিকাইল মিঞার নেতৃত্বে বিরাট পুলিশবাহিনী মোষের গাড়িগুলিকে আটকায়। তা থেকে ১২ টন অবৈধ কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই বিপুল পরিমাণ কয়লা কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, তা যদিও এখনও জানা যায়নি। মোষের গাড়ির চালক-সহ অন্যান্যরা পলাতক। তাদের খোঁজ শুরু হয়েছে।গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডের কিনারায় তৎপর সিবিআই, ইডি’র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
তাঁর গ্রেপ্তারির মাঝে বীরভূম থেকে পাচার হওয়ার আগে কয়লা উদ্ধারের ঘটনা যেন অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিরোধীরা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুলছেন তারা।উল্লেখ্য, আগেও প্রচুর অবৈধ কয়লা আটক করেছে সদাইপুর থানার পুলিশ। বড় ট্রাক, ট্র্যাক্টর, পিক আপ ভ্যান, মোষের গাড়ি, মোটরবাইক থেকে উদ্ধার হয়েছে কয়লা। কয়লা পাচারকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে সরগরম রাজ্য– রাজনীতি। কয়লা এবং গরুপাচার করার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই–ইডি। একাধিক গ্রেফতারও করা হয়েছে।