দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- ফের তৃণমূলে ফিরলেন খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল। শুক্রবার কাঁথি পুরসভার ১৭ নম্বর ওর্য়াডে অবস্থিত তৃণমূল কার্যালয়ে কারামন্ত্রী অখিল গিরির উপস্থিতিতে তিনি নতুন করে দলের কাজ শুরু করার কথা জানান। এই যোগদানের পর কারামন্ত্রী বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। রণজিৎ খুব ভালো সংগঠক। এবার থেকে তাঁকে সংক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাবে। ‘শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি রণজিৎ মণ্ডলও পদ্ম শিবিরে যোগদান করবেন বলে চাউর হয়। তবে বিজেপির কোনও মঞ্চে সক্রিয় ভূমিকায় তাঁকে কোনওদিনই দেখা যায়নি। রাজনৈতিক মহলের দাবি, রণজিৎ মণ্ডল শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বিজেপি-তে যোগদান করার জন্যে নন্দীগ্রামের সভায় উপস্থিত হন। বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভে যোগদান করতে পারেননি।২০০৮ সালে জেলা পরিষদের সভাধিপতি হন রণজিৎ। ২০১১ ও ২০১৬ সালে পরপর খেজুরি থেকে বিধায়ক হন। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, রণজিৎ মণ্ডল ভাল সংগঠক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন।
এবার থেকে সক্রিয় ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাবে। কয়েকদিন আগে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কাঁথিতে একটি কর্মসূচিতে গেলে সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন রণজিৎ। ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। কুণাল জানিয়েছিলেন, রণজিৎবাবু দলের হয়ে কাজ করতে চান।রাজ্য নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাবেন। আর এদিনই ঘরে ফেরা।২০২১ সালে খেজুরি তূণমূলের ফল উল্লেখযোগ্য ভাবে খারাপ হয়। তার পর থেকে শাসক মরিয়া চেষ্টা করছিল ওই এলাকায় সাংগঠনিক শক্তি ফিরে পাওয়ার। দক্ষ সংগঠক হিসাবে পরিচিত রণজিৎ কে শাসকদলও চাইছিল, দলে ফিরেে আবার সক্রিয় হয়ে কাজ শুরু করুক। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীরের দায়িত্ব পান কুণাল ঘোষ। গত ১৫ জানুয়ারি দুপুরে তাঁর উপস্থিতিতে কাঁথিতে বৈঠকে বসেন রণজিৎ মণ্ডল ও সুপ্রকাশ গিরি। সেখানে রণজিৎকে খেজুরিতে সক্রিয় হওয়ার কথা বলা হয়। পরে সুপ্রকাশ গিরি জানান, রণজিৎবাবু দলের হয়ে কাজ করতে চান। তার ঠিক দু’সপ্তাহ পর দলে ফের যোগ দিলেন তিনি।