প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অফিসারের কাজে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই সিট থেকে সরিয়ে দেওয়া হল এই তদন্তকারী অফিসারকে। আজ, মঙ্গলবার তিনি এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। সিবিআই তদন্তকারী অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসকে সিবিআইয়ের সিট থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।এই সিবিআই অফিসার তদন্তের কাজে ঢিলেমি করছেন এবং ভুল পথে চালিত করছেন বলে অভিযোগ। যদিও এই কথা বলেননি বিচারপতি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ বলেন, ‘ওই তদন্তকারী কর্তা যেন কোনও তদন্তের ফাইল স্পর্শ করতে না পারেন। তদন্তের কোনও কাজে যেন সোমনাথ বিশ্বাস যুক্ত না থাকেন। কোনও ফাইলও যেন তিনি না ধরেন।’ তবে সিবিআইয়ের আর যাঁরা অফিসার রয়েছেন, তাঁদের প্রশংসা করেন তিনি। এদিনই দুপুর ২টোর মধ্যে নতুন তদন্তকারী অফিসারের নাম জানাতে বলা হয় সিবিআইকে। যদিও নতুন তদন্তকারী অফিসারের নাম জানানোর জন্য সময় চান সিবিআইয়ের আইনজীবী।
সেই আবেদনে মান্যতা দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।২০১৪ সালের টেটে ৫ শতাংশ অতিরিক্ত প্যানেলের তদন্তে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিট গড়েছিল সিবিআই। কিন্তু তদন্তের গতি শ্লথ হওয়ায় সিট ভেঙে দিয়েছিলেন বিচারপতি। নতুন করে গঠিত হয় সিট। এর ৭ মাসের মধ্যে ফের সিটের তদন্তকারী অফিসার বা আইও সোমনাথ বিশ্বাসকে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।আদালতের নির্দেশ, তদন্তের কোনও কাজে ওই আইও যুক্ত থাকতে পারবেন না। তদন্তের কোনও ফাইল স্পর্শ করতে পারবেন না তদন্তকারী। দুপুর দুটোর মধ্যে নতুন তদন্তকারী অফিসার নাম জানাবে সিবিআই, এমনই নির্দেশ দিলেন আদালত।জানা গিয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়ার গতি নিয়ে চূড়ান্ত বিরক্ত বিচারপতি। তাই সিটের আইওকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিন দুপুরেই নতুন তদন্তকারীর নাম জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, গাড়ি দুর্ঘটনার কারণে আসতে পারেননি সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরই আগামিকাল নাম জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।