নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে চর্চিত নাম গোপাল দলপতি। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাপস মণ্ডল। ইডি দফতরে ঢোকার সময় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, কুন্তলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। হন্যে হয়ে যাঁকে খুঁজছিলেন ইডি অফিসাররা, ধরা দিলেন তিনি নিজেই। অবশেষে খোঁজ মিলল গোপাল দলপতির। আর খোঁজ পেতেই মঙ্গলবার হাজিরার নির্দেশ দিল ইডি। এদিন ইডি দফতরে ঢোকার আগে গোপালবাবু বলেন, আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও চিনি না। আমার সঙ্গে কুন্তলের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তাপসবাবু।ইডি সূত্রের খবর, গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষকে মুখোমুখি বসিয়ে দেরা করা হতে পারে। কী ভাবে কুন্তলের টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছত, এই তিন জনকে জেরা করে সেই ছবি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।গত ২১ জানুয়ারি কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর তাঁর মুখেই প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে গোপাল দলপতির নাম। তারপর থেকে গোপালের খোঁজে ছিল ইডি। সোমবার নিজেই ইডি দফতরে ফোন করে বয়ান রেকর্ড করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
মঙ্গলবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলেন ইডির গোয়েন্দারা। এরপর জানা যায় তাপস মণ্ডলের মধ্যস্থতায় গোপালের খোঁজ পেয়েছে ইডি। মঙ্গলবার সেই তাপস মণ্ডলের সঙ্গেই ইডি দফতরে ঢুকলেন গোপাল।নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আচমকা সামনে আসে এই গোপাল দলপতির নাম। এই নাম সামনে আনেন ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূলের সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ধৃত কুন্তল ঘোষ জানিয়েছিলেন, “গোপাল দলপতি, ইনি তাপস মণ্ডলের লোক। যিনি আমার কাছে প্রায় ৬০ লাখ টাকা নিয়েছিল। ৫০ লাখ টাকা এক্সটরশন মানি দাবি করেছে তাপস মণ্ডল, তার কল রেকর্ডিং সিবিআইকে দেওয়া আছে।’’