Breaking News

গুলিবিদ্ধ হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ,কলকাতায় মারা গেলেন মুর্শিদাবাদের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর। মঙ্গলবার রাতে পিকনিক চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন রুবেল শেখ নামে ওই তৃণমূল কর্মী। ওই ঘটনায় নবগ্রাম ব্লকের তৃণমূল সভাপতি এনায়েতুল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে রুবেলের পরিবার।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচগ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল নেতা রুবেল শেখ। তাঁর দুই সহকর্মীকে নিয়ে বিলবসিয়া চুপড় এলাকায় আড্ডা মারছিলেন। সেই সময় একটি বাইকে দুই দুষ্কৃতী এসে কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়ায়। তার কিছুক্ষণ পরেই গুলি চালায়। তৃণমূলের যুব নেতা রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর সঙ্গে থাকা তৃণমুল যুব কর্মী উজ্জ্বল শেখ ও সাহেব শেখ কিছু বোঝার আগেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।রুবেলকে প্রথমে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রুবেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে তাঁকে ভর্তি করানো হয় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ মৃত্যু হয় রুবেলের। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।রুবেল নবগ্রাম ব্লকের তৃণমূল সভাপতি এনায়েতুল্লাহর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে পরিবার। নিহত তৃণমূল কর্মীর মা মবিনা বিবি বলেন, ‘‘আমার ছেলে এনায়েতুল্লার সঙ্গে থাকত সব সময়। মঙ্গলবার রাতে এনায়েতুল্লা এবং আরও ৫ জনের সঙ্গে ওরা পিকনিক করছিল। ও কী ভাবে খুন হয়েছে ওরা সব জানে।’’ একই সুর রুবেলের বাবা গোলাম রসুলেরও। তাঁর দাবি, ‘‘সারারাত ছেলে বাড়িতে ফেরেনি। ভেবেছিলাম এনায়েতুল্লার সঙ্গেই আছে। মাঝে মাঝে ওর সঙ্গে থাকতও। সকালে খবর পেলাম ছেলেকে গুলি করেছে। এনায়েতুল্লাই সব বলতে পারবে।’’ এনায়েতুল্লার দাবি, ‘‘দলের কর্মীর মৃত্যুতে আমি এমনিতেই মর্মাহত, তদন্তে পুলিশকে সব রকম সহযোগিতা করব।’’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *