দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- কেশপুরে গেলেন তৃণমূল নেতা এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সাধারণ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনলেনও | মটকাপুর গ্রামে ভেঙে পরা স্কুল বিল্ডিং এবং জমির পাট্টা সংক্রান্ত সমস্যার কথা শুনেছেন তিনি। এনিকেট গ্রাম পঞ্চায়েতের জিনশহর গ্রামের বাসিন্দারা বেশিরভাগই জমির পাট্টা সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানালেন তাঁকে। আর তা শুনে গ্রামবাসীদের সামনে থেকেই সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন অভিষেক। পাট্টা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের কথা বলেন। তাতে সেচমন্ত্রী জানান, তাঁর অপারেশন হয়েছে, কটা দিন বিশ্রামে আছেন। তা শুনে অভিষেকও বলেন, ”হ্যাঁ, অপারেশন হয়েছে জানি। তবু নিয়ম যা আছে দেখে, যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব একটু পাট্টার ব্যবস্থা করে দেবেন।”ঘটনাস্থল থেকেই রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন তিনি সেচ দফতরের দায়িত্বে থাকা পার্থ ভৌমিককে যত দ্রুত সম্ভব সব নিয়ম মেনে স্থানীয় মানুষের দাবি যাতে পূর্ণ করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে নজর দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।এরপরেই স্থানীয় মানুষকে তিনি জানিয়েছেন তাঁরা যেন এই বিষয়ে যোগাযোগ রাখেন। পাশাপাশি তিনিও এই বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও স্থানীয় স্কুল বিল্ডিং-এর সংস্কারের বিষয়টিও তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় মানুষকে|
এবারও তাঁর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে সভার আগে স্থানীয় প্রশাসন কিছুটা ভীত ছিলেন। প্রথমে অভিষেকের কপ্টারে যাওয়ার কথা ছিল সভাস্থলে। কিন্তু পরে মতবদল করে তিনি সড়কপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই আশঙ্কা ঘনিয়ে আসে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে। সকলেই ভাবতে থাকেন, আবার গ্রাম পরিদর্শনে নামলে অভিষেকের ‘শাস্তি’র মুখে না পড়তে হয় কাউকে।