প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে অস্বস্তিতে থাকলেন তৃণমূল ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। সোমবার হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের রায়, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেখানে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, নাবালিকাকে দিঘায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি। নাবালিকার পরিবার এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, অভিযুক্ত ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরিকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান শুভদীপের আইনজীবী। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ এতে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। তবে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, চাইলে আত্মসমর্পণের নির্দেশের পুনর্বিবেচনার জন্য নতুন করে আবেদন করতে পারবে অভিযুক্ত। তবে তা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চেই করতে হবে।চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কাঁথি থানায় তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা-মা।
কিন্তু পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট ওই পরিবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পর গত ১৯ জানুয়ারি মামলা দায়ের হয়। আদালত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার পরও শুভদীপকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় পুলিশের তদন্ত নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খোদ বিচারপতি মান্থা। এর আগে এক তদন্তকারী পুলিশ কর্তাকে তিনি বলেন, ‘‘আপনি সঠিক ভাবে তদন্ত করছেন না… । যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে (শুভদীপকে) গ্রেফতার করুন।’’ এ ছাড়া, অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে অভিযুক্তের আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে ফেরায় সিঙ্গল বেঞ্চেই।