নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা :- বঙ্গ–বিজেপির অন্দরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ ৭ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল উত্তর কলকাতার এক মণ্ডল সভাপতির কাছ থেকে। আর তিনি সেটা দিতে না পারায় দলের মণ্ডল সভাপতি পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এই উত্তর কলকাতা শহরতলি সাংগঠনিক জেলার ৫ নম্বর মণ্ডল কমিটির সদ্য অপসারিত সভাপতি উত্তম সাউ এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। অপসারিত বিজেপির মণ্ডল সভাপতির নাম উত্তম সাউ। তাঁর দাবি, তিনি উত্তর কলকাতা শহরতলি সাংগঠনিক জেলার ৫ নম্বর মণ্ডল কমিটির সভাপতি পদে ছিলেন। কিন্তু ৭ লাখ টাকা না দিতে পারায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পদ থেকে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে উত্তম অভিযোগ করেছেন কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলা বিজেপির সভাপতি অরিজিৎ বক্সি ও জেলার এক নেত্রীর বিরুদ্ধে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকেও অভিযোগপত্র দিয়েছেন উত্তম সাউ। সূত্রের খবর চিঠিতে উত্তম লিখেছেন, ‘ব্যবসায় আর্থিক ক্ষতি হওয়ায় ও পরিবারিক আর্থিক অনটনের জন্য ওই টাকা দিতে ব্যর্থ হই। টাকার দাবির প্রবল চাপ পূরণে আমি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলাম।’ বিজেপির অন্দরের এই কোন্দলের খবর প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল পড়ে যায়। রাজ্য বিজেপি দফতরে মঙ্গলবার বিকেলে উত্তম সাউকে ডেকে পাঠানো হয়।সূত্রের খবর, অপসারিত মণ্ডল সভাপতির সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথা বলেন দুই রাজ্য সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী ও সতীশ ধনদ। যদিও সেই বৈঠকে তকাঁর অভিযোগের সমাধান না করে উলটে অভিযোগপত্র ছিঁড়ে ফেলতে বলা হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে উত্তর শহরতলি জেলা বিজেপির সভাপতি অরিজিৎ বক্সি জানান, এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। হতে পারে কোনও প্ররোচনায় পা দিয়ে উনি এরকম করেছেন।এদিকে, কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলা বিজেপির সভাপতি অরিজিৎ বক্সী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।হতে পারে কোনও প্ররোচনায় পা দিয়ে উনি এরকম করেছেন। চিঠি যদি দিয়ে থাকেন তার যা দলীয় প্রক্রিয়া হওয়ার কথা তাই হবে।” রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য-র বক্তব্য, “বিজেপিতে এরকমভাবে কিছু হয় না। দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। চিঠি কারা বাইরে বের করল সেটা দল খতিয়ে দেখছে।”