Breaking News

‘হাওড়ায় ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে, দেড় লাখ কর্মসংস্থান হবে’ বেকার যুবক-যুবতীদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর!

প্রসেনজিৎ ধর :- হাওড়ায় দেড় লাখ কর্মসংস্থান হবে বলে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার হাওড়ার পাঁচলায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে একথা জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।বৃহস্পতিবার হাওড়ার পাঁচলা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ৬ লাখ পরিবারের হাতে সরকারি পরিষেবা প্রদানের কর্মসূচির সূচনা করেন। এদিন এই অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী হাওড়া জেলায় বিপুল কর্মসংস্থান হবে বলে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন,‘হাওড়ায় শিল্পের জোয়ার এসেছে। হাওড়ার ৫ হাজার শিল্পে ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ৬৭ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আরও শিল্পে ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব রূপায়নের পথে। এর ফলে দেড় লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হাওড়াতে আবার হবে। এই জেলায় ৩০ হাজারের বেশি MSME ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। ২৭টি ক্লাস্টার চালু হয়েছে। এক লক্ষ মানুষ এই ক্লাস্টারগুলিতে কাজ করে। হাওড়া জেলাকে MSME হাব হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল সেক্টরে জোর দেওয়া হয়েছে। সরকারি সহায়তায় দুটি পার্ক হয়েছে। আর দুটি পার্ক হবে। তাতে ১ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে।’এদিন হাওড়ার পাঁচলা মোড়ের জনসভা থেকে মোট ১৫ জেলার ৯০০ বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা—একাধিক ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেন তিনি। আর বলেন, ‘‌আজ ৯০০–র বেশি প্রকল্পের শিলান্যাস হল। দুয়ারে সরকারে ৯ কোটি দরখাস্ত এসেছিল। তার মধ্যে ৭ কোটিরও বেশি দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আজ ৬ লক্ষ মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছবে পরিষেবা। কোনও জেলা যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা।

বনদফতরের জন্য ৩০০টি মোটরসাইকেল দেওয়া হয়েছে। বলাগড়ে পর্যটন কেন্দ্র করা হয়েছে। সাগর হাসপাতালে নতুন ক্যানসার ভবন চালু হল। ২০৮টি পানীয় জল প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে যাতে ২০২৪ সালের মধ্যে সব বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য। বানতলায় চর্মশিল্পের নতুন ৩টি ইউনিটে ৩ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ফুরফুরা শরিফে ১০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের নতুন নাম হয়েছে সবুজ সাথী। দেউচা পাঁচামি প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।’‌তবে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে এদিনও আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‌১০০ দিনের কাজের ৭ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র দেয়নি। গরিব লোকের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। ১১ লক্ষ বাড়ির টাকা পড়ে আছে দেওয়া হয়নি। ফুড সাবসিডির টাকা কেটে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের টাকা কেটে নিয়েছে। রাজ্যের থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ রাজ্যের প্রাপ্য দিচ্ছে না।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *