দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে আচমকা শনিবার সকালে রাজভবনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক ধরে একান্ত বৈঠক হয় তাঁদের। রাজ্যপালকে রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে রাজভবনে গিয়েছিলেন বলেই দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতির। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে দুর্নীতি এবং হিংসার কথা তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার। আর শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে রাজ্যপালের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন। সংসদ চলার জন্য নয়াদিল্লিতে ছিলেন সুকান্ত। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে ধমক দেন এবং সতর্ক করেন যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে এমন ঘটনা না ঘটে। দলীয় বিধায়কদের সতর্ক করতেও তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্ষমা চাওয়ার পথটাও সেখান থেকেই বাতলে দেওয়া।
রাজ্যপালকে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে রাজভবনে গিয়েছিলেন বলেই দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতির। দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যপালের জিরো টলারেন্স নীতি বলেই জানিয়েছেন তিনি। বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, ‘সংবিধান সমস্ত কিছুর উপরে বলে আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যপাল। পরিষ্কার বলেছেন, বাংলার বেশ কিছু জায়গায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, আগের রাজ্যপাল লা গণেশনের সময় যে লোকাযুক্ত গঠিত হয়, তা সংবিধানের নিয়ম মেনে হয়নি। তা বাতিল করতে বিধানসভার আগামী অধিবেশনে অর্ডিন্যান্স আনার কথা বলেছেন রাজ্যপাল।’ এখন এই নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।সুকান্ত ও রাজ্যপালের বৈঠককে অবশ্য ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপালকে অপমান করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাতে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস এবং শুভেন্দুর মধ্যস্থতাকারী হিসাবে রাজভবনে যান সুকান্ত।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal