দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত সৌজন্য বজায় রাখার পথেই হেঁটেছে রাজ্যের শাসকদল। রাজ্যপালের তরফে এখনও পর্যন্ত শাসক শিবিরের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, পালটা সৌজন্য দেখিয়েছে শাসকদলও। কিন্তু এবার সেই সমীকরণে বদল আসার ইঙ্গিত মিলছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আগাম বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেটি হল—রাজ্যপাল যদি রীতি এবং সৌজন্য সীমা লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁকে তাঁর ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে।রাজ্যপালের গত কয়েকদিনের নানা পদক্ষেপ তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য রীতিমতো অস্বস্তিকর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার পর কড়া বিবৃতি পেয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যপালের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন একটি পরামর্শদাতা পরিষদ নিয়োগ গড়তে চলেছেন রাজভবনের বাসিন্দা। এই পরিষদে ভিনরাজ্যের বিজেপি ঘনিষ্ঠ আইএএস অফিসাররা থাকতে পারেন বলে সূত্রের খবর। এই হঠাৎ বদল ভাবিয়ে তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।রাজ্যপালের এই কাজ মোটেই ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা ধনখড়কে পাঠিয়েছিলেন, তাঁরাই তো সিভি আনন্দ বোসকে পাঠিয়েছেন। দু’জনের কর্মপদ্ধতি আলাদা হলেও উৎস তো একই। দু’জনের উদ্দেশ্য আলাদা হবে এটা ভেবে নেওয়া ঠিক হবে না। সিভি আনন্দ বোস যতদিন সৌজন্য বজায় রাখবেন, নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করবেন, ততদিন পর্যন্ত পালটা সৌজন্য দেখানো হবে। কিন্তু রাজ্যপাল যদি রীতি বিরুদ্ধভাবে রাজ্যের সমালোচনা বা নজরদারি করার চেষ্টা করেন, বা অন্য রাজ্যের আইপিএসদের অন্যভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে প্রতিক্রিয়ার ভাষা এবং মেজাজ দুটোই বদলাতে হবে।’