প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-৪২ দিন পর জেলমুক্ত আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। উচ্ছ্বসিত দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। রাজ্য প্রশাসনকে খোঁচা দিয়ে তিনি আবারও বলেন, “কেউ যদি ভাবে আটকে রাখায় ভয় পেয়ে গিয়েছি, তা ভুল হবে।” আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নওশাদের হুঁশিয়ারি, “মানুষ জবাব দিতে শুরু করেছে।
দুর্নীতি, অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।” জেলমুক্তির পরই ধৃত কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিরও পাশে দাঁড়ান আইএসএফ বিধায়ক। তিনি বলেন, “কৌস্তভের পাশে আছি। লড়াই চলবে।”দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে জেলমুক্ত নওশাদ সিদ্দিকি। শনিবার সকালেই প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছয় নথিপত্র। সেই নথিপত্র খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সেরে তারপরই জেল থেকে ছাড়া পান নওশাদ। এমনকী আইএসএফ বিধায়কের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া বাকিরা জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। প্রেসিডেন্সি জেলে পৌছল জামিনের নথি। এর আগে একাধিকবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। নওশাদ সিদ্দিকি দেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই জেলের বাইরে আইএসএফ বিধায়ককে ঘিরে দলীয় সমর্থকদের উচ্ছ্বাস, পুষ্পবৃষ্টি হয়। এদিকে জেল থেকে ছাড়া পেয়েই নওশাদের হুঙ্কার, লড়াই চলবে। জানালেন, মানুষের পাশে থাকবেন। অন্যদিকে, নওশাদের জামিনের পর ভাঙড়ে উত্তেজনা। চালতাবেড়িয়ায় ISF নেতাকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোমাবাজিরও অভিযোগ ওঠে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। ঘটনার সূত্রপাত গত ২১ জানুয়ারি। দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে গত ওইদিন ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীরা। সেই দিন বিকালে কলকাতার ধর্মতলায় পুলিসের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয় আইএসএফ কর্মীদের। পুলিসকর্মীদেরও মারধরের অভিযোগ ওঠে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পালটা ব্যাপক ধরপাকড় চালায় পুলিস। সেই গন্ডগোলেই গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ নেতা তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ বেশ কয়েকজনকে।