দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- নদী থেকে বালি, মাটি তোলার সময় বিপত্তি। মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু ৩ শ্রমিকের। তাদের মধ্যে ২ জন নাবালক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায়। সোমবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার বালাসন নদীতে। বহুদিন ধরে বন্ধ নদীঘাট। আর তার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়ছে শ্রমিকরা। যদিও আইন অনুযায়ী নদীঘাট বন্ধ থাকলেও রাতের অন্ধকারে ও ভোর রাতে নদী থেকে বালি–পাথর তোলার কাজ চলে বলে অভিযোগ।স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার ভোররাতে নদী থেকে বালি তুলতে গিয়ে বালি চাপা পড়ে মৃত্যু হল তিন তরুণের। এই ঘটনায় গোটা গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই তিনজন এলাকায় খুব পরিচিত।
মৃত তরুণরা হল— রোহিত সাহানি (১৫), শ্যামল সাহানি (১৫) এবং মনু কুমার (২০)। এই তিন তরুণই মাটিগাড়া বানিয়াখাড়ির বাসিন্দা। এখানেই ভোররাতে মাটিগারা বালাসন নদীর পার কাটতে গিয়ে ধস নেমে যায়। ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজন শ্রমিকের। আহত হয়েছে আরও এক শ্রমিক। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।এদিকে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার পর তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের বেলা নদীঘাট বন্ধ থাকলেও রাতে পুলিশ ঘুষ নিয়ে নদী থেকে বালি পাথর তোলার কাজে ছাড় দেয়। যদি নদীঘাট খোলা না থাকত, তাহলে রাতের অন্ধকারে এভাবে বালি তুলতে গিয়ে এতগুলি তরতাজা প্রাণের বলি হতো না। পুলিশ অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে মৃত পরিবারগুলিকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার খবর পেয়ে মাটিগাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। তারপর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।