দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের অভিযুক্ত রাজ্যের এক মন্ত্রীর আত্মীয়। শালবনীর বিধায়ক তথা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই খোকন মাহাতো। হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ-সি চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁর। সেই খোকনই এখন বেপাত্তা। বিরোধীদের অভিযোগ, পড়াশোনায় একেবারেই ভাল ছিলেন না তিনি। কোনও মতে শুধু উচ্চ-মাধ্যমিক পাশটুকু করেছেন। মন্ত্রীর হাত ছিল ভাইয়ের মাথায়। তাই হয়ে গেছে চাকরি।শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল হয়। এই তালিকায় ২৮৪ নম্বরে নাম রয়েছে মন্ত্রীর ভাই খোকন মাহাতোর। তিনি ঝাড়গ্রামের একটি স্কুলে গ্রুপ সি পদে কর্মরত ছিলেন। শনিবার তাঁর খোঁজেই শালবনির গ্রামের বাড়িতে পৌঁছয় সাংবাদমাধ্যম। তবে বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল সদর দরজা ঝুলছে তালা। শুধু নীচের একটা ঘরের জানালার পাল্লা খোলা। সেখান থেকে সাংবাদিকরা শত ডাকাডাকি করলেও কেউ সাড়া দেননি।স্থানীয় সূত্রে খবর, সপ্তাহে গ্রামের বাড়িতে আসেন খোকন। শুক্রবার রাতে নাকি গ্রামে একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে তার দেখা মেলেনি এলাকায়।
অন্যদিকে, এই বিষয়ে মুখ খোলেননি মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোও। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শ্রীকান্ত মাহাতো মেরে কেটে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। দাদা মন্ত্রী হওয়ার পরেই চাকরি পান তিনি। ৫ বছর ধরে তিনি ঝাড়গ্রামের স্কুলে করণিকের চাকরি করছেন। সপ্তাহান্তে শালবনির বাড়ি ফেরেন তিনি। শুক্রবার বাড়ি ফিরেছিলেন। সন্ধ্যায় একটি বিয়েবাড়িতে যোগদান করেন। তার পর এলাকায় খোকনের চাকরি যাওয়া নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। শনিবার সকাল থেকে খোকন বা তাঁর পরিবারের কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। বাড়িও তালাবন্ধ।স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, খোকনবাবু উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। স্নাতক স্তরের পড়াশুনো শুরু করেও শেষ করতে পারেননি। সবাই জানত দাদার দাক্ষিণ্যেই ওর চাকরি হয়েছে। এব্যাপারে মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি স্থানীয় কোনও তৃণমূল নেতা।