প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- নবান্নে রোজকার মতোই বুধবার উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ নিজে কাজে বসার আগে নবান্নের পাঁচতলায় চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁকে দেখে তখন হকচকিয়ে যান কর্মী থেকে অফিসাররা। এই পাঁচতলায় রয়েছে স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতর। সেখানে ঘুরে দেখলেন তিনি। আর কথা বললেন কর্মীদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অনেকেই নানা কথা জানালেন। বুধবার দুপুরে নবান্নে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন নিজের ঘরে না গিয়ে তিনি ঢুকে পড়েন পাঁচতলায়, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দপ্তরে। আচমকা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই হতচকিত হয়ে পড়েন কর্মীরা। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান সকলে। ঢুকেই মুখ্যমন্ত্রী দেখেন অধিকাংশ চেয়ারই ফাঁকা। দেখা নেই কর্মীদের।সূত্রের খবর, সেখানে গিয়েই মমতা জানতে পারেন, বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হাজিরা মাত্র ২৫ শতাংশ।দিনের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্র দফতরে হাজির হওয়ায় খানিকটা অবাকই হয়ে যান উপস্থিত কর্মীরা। আচমকা মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের দফতরে দেখে নিজের নিজের টেবিল ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন। দফতর ঘুরে ঘুরে কর্মীদের উপস্থিতির ও কাজের পরিবেশও খতিয়ে দেখেন তিনি।
কয়েক জন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে কাজ নিয়ে তাঁদের মতামতও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসে দুই দফতরের কর্মীদের অনুপস্থিতি। দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন, বুধবার সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মাত্র ২৫ শতাংশ কর্মী হাজির হয়েছেন। মিনিট দশেক পরিদর্শনের পর নিজের দফতর ১৪ তলায় চলে যান মুখ্যমন্ত্রী।২০১৩ সালে রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর মহাকরণ থেকে নবান্নে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী আচমকা কখনও স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতর পরিদর্শনে যাননি। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর আচমকা উপস্থিত হওয়ার খবর নবান্নের অন্য দফতরগুলিতেও পৌঁছে যায়। তাই সেখানেও কর্মীদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়।নবান্ন সূ্ত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য দফতরের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি সব শুনে বিষয়টি কাউকে বলেননি। আর সেইসব অভিযোগ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নিজেই পৌঁছে যান পাঁচ তলায়। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে আসল তথ্য বের করেন নেন তিনি। এবার সেই মতো অ্যাকশন হবে। তবে ১০ মার্চ ডিএ–এর দাবিতে ধর্মঘটের দিন স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার নিয়েও খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।