দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ‘কালীঘাটের কাকু’কে তলব করেছিল সিবিআই। আর তলব পেয়েই নিজাম প্যালেসে হাজির হয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । প্রায় আড়াই ঘন্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সুজয়কৃষ্ণ সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। শুধু জানিয়েছেন, তিনি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত দুই যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনতেন।
তবে সবটাই রাজনৈতিক কারণে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, ‘কালীঘাটের কাকু’র বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর রেকর্বড করা বক্তব্যের সঙ্গে কুন্তল, শান্তনু, তাপস মণ্ডল ও গোপাল দলপতির বক্তব্য মিলিয়ে দেখা হবে। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।বুধবার সকাল ১১টার একটু আগে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে পৌঁছন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সুজয়ের দুই আইনজীবীও। দফতরে ঢোকার মুখে তিনি জানান, সকাল ১১টায় তাঁকে হাজির থাকার কথা বলেছিল সিবিআই। সেই তলবে সাড়া দিয়ে তিনি আইনজীবীকে নিয়ে পৌঁছন নিজাম প্যালেসে এসেছেন।তাঁকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিবিআই তলবের নোটিস পাঠানো হয়। তাতে লেখা ছিল, সকাল ১১টায় হাজির হতে হবে নিজ়াম প্যালেসের দফতরে। সেই অনুযায়ী সকাল ১১টার কিছুক্ষণ আগেই দুই আইনজীবীকে নিয়ে সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান সুজয়। নিজাম প্যালেসে ঢোকার মুখে ‘কীলাঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেছিলেন, ‘কেন ডাকল জানি না৷ নোটিসও দেয়নি৷ হাতে লেখা কাগজ দিয়ে এসেছিল গতকাল সন্ধে সাড়ে ছ’ টায়৷ তাই চলে এসেছি৷ আমি এসবের কিছুই বুঝি না৷ আমার স্ত্রী খুবই অসুস্থ৷ তা সত্ত্বেও এসেছি৷ এর পরেও বলবে আমি তদন্তে অসহযোগিতা করছি৷’নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কয়েক সপ্তাহ আগে ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম সামনে আসতেই সুজয়বাবু নিজেই সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করে বলেছিলেন যে, ‘নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই।’ পাশাপাশি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সুজয়কৃষ্ণ ‘সাহেব’ বলে জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, অভিষেকের কাছে পৌঁছতে না পেরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো তাঁকে নিয়ে টানাটানি করছে।